shono
Advertisement

দূষণমুক্ত পরিবেশ গড়তে উদ্যোগী প্রশাসন, শৌচালয়ের বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণে প্রশিক্ষণ বর্ধমানে

'লিচ পিট' প্রক্রিয়ায় শৌচালয়ের বর্জ্য থেকে জৈব সার তৈরির তোড়জোড়।
Posted: 03:32 PM Dec 14, 2021Updated: 03:32 PM Dec 14, 2021

অর্ক দে, কালনা: বিজ্ঞান সম্মত উপায়ে শৌচাগারের অবশেষ বা ‘লিচ পিট’ প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে দূষণমুক্ত (Pollution free) পরিবেশ গড়ে তুলতে উদ্যোগী নিচ্ছে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। সোমবার এ নিয়ে ইউনিসেফের (UNICEF) তরফে একদিনের প্রশিক্ষণ শিবির হয়ে গেল বর্ধমানের সংস্কৃতি লোকমঞ্চে। পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের উদ্যোগে ও পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের ব্যবস্থাপনায় এই শিবিরের আয়োজন করা হয়। ৬টি জেলা থেকে মোট ৪২ জন প্রতিনিধি এদিন প্রশিক্ষণ শিবিরে অংশ নেন। এদিন ইউনিসেফের পক্ষ থেকে একজন ও সিসিডিএসের পক্ষ থেকে দু’জন প্রতিনিধি প্রশিক্ষণ দেন। যদিও পাইলট প্রজেক্টে (Pilot Project) কালনা-১ ব্লকে ইতিমধ্যে ‘লিচ পিট’ প্রক্রিয়াকরণ প্রকল্প চালু হয়েছে।

Advertisement

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘নির্মল বাংলা’ প্রকল্পের আওতায় জেলায় বিভিন্ন কমিউনিটি টয়লেট (Community Toilet) বা শৌচাগার তৈরি করা হয়েছে। সেইসমস্ত শৌচাগারের অবশেষ অর্থাৎ ‘লিচ পিট’ থেকে পরিবেশে দূষণ ছড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে ‘নির্মল বাংলা’ প্রকল্প ব্যাহত হতে পারে। এই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে শৌচাগারের অবশেষ সম্পূর্ণরূপে প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে সার তৈরি করা হবে। এর জন্য বিভিন্ন গ্রামীণ ও পুর এলাকায় পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে। নির্দিষ্ট মেশিনের মাধ্যমে এই বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ করা হবে। জেলার কালনা-১ (Kalna) ব্লকে ইতিমধ্যেই এই প্রকল্প শুরু হয়েছে। আগামী দিনে জেলার সমস্ত অঞ্চলে চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।

[আরও পড়ুন: পরিবেশ রক্ষার বার্তা দিতে ভারত ভ্রমণ, ৯ হাজার কিমি পথ ঘুরে বাংলায় ষাটোর্ধ্ব হরিয়ানার বাসিন্দা]

জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ বাগবুল ইসলাম জানান, এদিন পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, হুগলি, বাঁকুড়া, বীরভূম ও পুরুলিয়া জেলা থেকে আধিকারিকরা এই শিবিরে অংশ নেন। কালনা-১ ব্লকে এই প্রকল্প শুরু করা হয়েছে। এর জন্য একটি মেশিন কেনা হয়েছে। এই এ ধরনের একেকটি মেশিনের মূল্য ২৫ লক্ষ টাকা। আগামী দিনে জেলার প্রতি ব্লকেই এই প্রকল্প শুরু হবে। এই প্রক্রিয়ায় এলাকায় বিভিন্ন শৌচাগার থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করার পর নির্দিষ্ট মেশিনে সেটি প্রক্রিয়াকরণের পর সার তৈরি করে হবে। যা কৃষিক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে।

[আরও পড়ুন: চমকপ্রদ উদ্ভাবনী শক্তি, আন্তর্জাতিক স্তরে ফের পুরস্কৃত বর্ধমানের ‘জুনিয়র’ বিজ্ঞানী দিগন্তিকা]

এতে একদিকে যেমন পরিবেশ দূষণমুক্ত করা সম্ভব হবে। অন্যদিকে, জমিতে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় জৈব সার পাওয়া যাবে। তিনি বলেন, “গ্রামীণ এলাকার পাশাপাশি শহর এলাকায় কীভাবে বর্জ্য সংগ্রহ করা হবে ও প্রক্রিয়াকরণের জন্য কীভাবে জমি চিহ্নিত করা হবে সেই সমস্ত বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement