সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চাঁদের দক্ষিণ মেরু বিষয়ে চমকপ্রদ তথ্য তুলে ধরল ইসরোর চন্দ্রযান ৩। চন্দ্রপৃষ্ঠের কাছাকাছি এক গতিশীল এবং বৈদ্যুতিকভাবে সক্রিয় পরিবেশের কথা জানা গিয়েছে প্রকাশিত তথ্য থেকে। জানা যাচ্ছে, ২৩ আগস্ট থেকে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে অবাক হয়ে গিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, চাঁদের ওই অঞ্চলে পদার্থ প্লাজমা অবস্থায় রয়েছে। প্লাজমা হল এমন এক অবস্থা যেখানে পদার্থ তড়িদাহত কণা, মুক্ত ইলেকট্রনের মিশ্রণ। যা বিদ্যুৎ সঞ্চালন করতে পারে এবং তড়িৎচৌম্বকীয় ক্ষেত্রে সাড়া দিতে পারে। চাঁদে এই প্লাজমা আবহ তৈরি হয়েছে মূলত সৌর বাতাসের প্রভাবে। এছাড়া সূর্যের আলোও একটা ফ্যাক্টর। সৌররশ্মিতে চন্দ্রপৃষ্ঠের পরমাণু থেকে ইলেকট্রন মুক্ত হতে থাকে।
ফাইল ছবি
চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে প্রথমবার পা রেখেছিল ইসরোর পাঠানো চন্দ্রযান ৩। বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং সাশ্রয়ী ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এক অনন্য উদাহরণ এই মিশন। মহাকাশ অনুসন্ধানে ভারতের বিপুল সম্ভাবনার প্রতীক বলেই এই অভিযানকে চিহ্নিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এর আগে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছিলেন, চাঁদে যত জল রয়েছে বলে মনে করা হয় বাস্তবে রয়েছে তার থেকেও অনেক বেশি। গুরুত্বপূর্ণ তাপমাত্রা সংক্রান্ত তথ্য সেদিকেই নির্দেশ করছে বলে জানানো হয়। অর্থাৎ চাঁদে বরফ যে যে স্থানে রয়েছে বলে মনে করা হয়, বাস্তবে হয়তো তার চেয়েও ঢের বেশি স্থানে তা ছড়িয়ে পড়েছে।
গবেষকদের তৈরি একটি মডেল থেকে জানা যায় যে, ১৪ ডিগ্রির বেশি ঢালবিশিষ্ট চন্দ্রপৃষ্ঠ, সূর্য থেকে দূরে মুখ করে, পৃষ্ঠের কাছাকাছি বরফ জমার জন্য যথেষ্ট ঠান্ডা তাপমাত্রা বজায় রাখতে পারে। আর এই সব তথ্য খতিয়ে দেখে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন চাঁদের গভীরে অনেক বেশি বরফের অস্তিত্ব থাকতেই পারে। তবে চাঁদের চরম তাপমাত্রার কারণেই এখানে বরফ সরাসরি বাষ্পে পরিণত হতে পারে। কখনও তা জলে রূপান্তরিত হওয়ার উপায় নেই। এবার চাঁদের দক্ষিণ মেরু সম্পর্কে অন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরলেন বিজ্ঞানীরা।
