সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: 'আন্ডারওয়াটার ফ্যান্টম'! বাংলা করলে দাঁড়ায় জলের গভীরে অবস্থানকারী ভূত! এমন নামেই সমুদ্রের গভীরে এক রোবট জেলিফিশ নামিয়েছে চিন। যার সাহায্যে সামুদ্রিক জীববৈচিত্রের ক্ষতি না করেই সেখানকার পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করে দেখবেন চিনা বিজ্ঞানীরা।
বলা হচ্ছে, সমুদ্রের গভীরে ওই ড্রোনকে দেখলে আসল জেলিফিশের সঙ্গে পার্থক্য করাই দায় হবে। রোবটটির স্বচ্ছ আকৃতি, ছাতার মতো দেহ ও শুঁড় তৈরি করা হয়েছে হাইড্রোজেল দিয়ে। যার ব্যাস ১২০ মিমি এবং ওজন মাত্র ৫৬ গ্রাম। নর্থওয়েস্টার্ন পলিটেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটির গবেষক তাও কাই-এর নেতৃত্বাধীন এক দল তৈরি করেছে রোবটটি। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি জানিয়েছেন, ''প্রায় জীবন্ত সদৃশ নকশার এই রোবট প্রায় নীরবে কম বিদ্যুৎ খরচেই গভীর সমুদ্রে গোপনে গভীর পর্যবেক্ষণ চালাবে। এর গড়ন সমুদ্রতলের গভীর তলদেশেও দিব্যি কর্মক্ষম থাকে।'' জানা যাচ্ছে, এই রোবটটির শরীরে রয়েছে একটি ছোট ক্যামেরা ও এআই চিপ। মেশিন লার্নিংয়ের সাহায্যে তারা অনায়াসে আশপাশ ভালো করে চিনে নিতে পারে।
গবেষক দলের এক সদস্য জানিয়েছেন, ওই রোবটিক জেলিফিশের সাহায্যে জলের গভীরে মাছেদের আচরণ পর্যবেক্ষণ করা যাবে। কোনওভাবেই প্রাণীগুলিকে বিরক্ত না করে তাদের জীবনশৈলী সম্পর্কে নতুন নতুন তথ্য আবিষ্কার করাই লক্ষ্য। নর্থওয়েস্টার্ন পলিটেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটির বিমান এবং রোবোটিক্স গবেষণায় রীতিমতো উল্লেখযোগ্য অবদান আগে থেকেই রয়েছে। পাখি এবং পোকামাকড়-সদৃশ রোবট, জল এবং বাতাস উভয় মাধ্যমে চলাচল করতে পারে এমন সব রোবট আগেই তাক লাগিয়েছে। এবার চর্চায় জেলিফিশের মতো দেখতে রোবট।
