সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একটা সময় ছিল যখন মহাকাশে আধিপত্য বিস্তার করা নিয়ে লড়াই ছিল রাশিয়া (তৎকালীন সোভিয়েত) ও আমেরিকার মধ্যে। বর্তমানে স্পেস রেসে সকলকে টেক্কা দিতে মরিয়া চিন (China)। ভারত কিংবা আরও অন্যান্য দেশকে সরিয়ে বিশ্বের মহাকাশবিজয়ী শীর্ষস্থানীয় দেশগুলির সারিতে নিজেকে বসাতে মরিয়া বেজিং। মঙ্গলে (Mars) মহাকাশযান পাঠানোর পাশাপাশি নিজেদের প্রথম স্পেস স্টেশনও মহাকাশে পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। এরই সঙ্গে শোনা যাচ্ছে, অত্যন্ত শক্তিশালী স্পেস টেলিস্কোপও (Telescope) পৃথিবীর কক্ষপথে স্থাপন করতে চলেছে শি জিনপিংয়ের দেশ। যা কিনা ধারে ভারে হাবলস (Hubble telescope) টেলিস্কোপের সমকক্ষই হবে না, তাকেও ছাপিয়ে যাবে বলে দাবি!
তবে এখনই নয়, সম্ভবত ২০২৪ সালে ওই ‘চাইনিজ স্পেস স্টেশন টেলিস্কোপ’ অন্তরীক্ষে পৌঁছবে বলে চিনা এক সংবাদমাধ্যমের দাবি। ওই টেলিস্কোপকে ‘জুনশিয়ান’ নামেও ডাকা হচ্ছে। এর অর্থ ‘স্বর্গের নজরদারি’। এর মধ্যে থাকবে ৬.৬ ফুট তথা ২ মিটার ব্যাসের লেন্স। সেদিক থেকে এটি হাবলস টেলিস্কোপের সমতুল। কিন্তু অত্যাধুনিক ক্ষমতাসম্পন্ন এই টেলিস্কোপের ২.৫ বিলিয়ন পিক্সেল ক্যামেরায় নজরদারির ক্ষেত্র হবে ৩১ বছরের পুরনো হাবলসের থেকে ঢের বেশি। প্রায় ৩০০ গুণ! মহাকাশে ভেসে বেড়ানো মহাজাগতিক বস্তুর মধ্যে বিশেষ করে ‘ডার্ক ম্যাটার’ ও ‘ডার্ক এনার্জি’র সন্ধান করবে সেটি। খোঁজার চেষ্টা করবে কসমস তথা ব্রহ্মাণ্ডের নানা রহস্য। যা থেকে আগামী দিনের বিজ্ঞানের নয়া পদক্ষেপের সন্ধান মিলতে পারে।
[আরও পড়ুন: সূর্যের আলোয় লুকিয়ে করোনার মারণবীজ! চাঞ্চল্যকর দাবি গবেষকদের]
আগামী কয়েক বছরের মধ্যে মহাকাশ অভিযানে অনেকগুলো মাইল ফলক ছুঁতে চায় বেজিং। গত ফেব্রুয়ারিতে চিনা মহাকাশযান তিয়ানওয়েন-১ (Tianwen-1 ) প্রবেশ করেছিল মঙ্গলের কক্ষপথে। ২০২২ সালের মধ্যে ১১টি মিশনে সফল হতে চায় বেজিং। চাঁদে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনাও রয়েছে তাদের।