সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিজের রেকর্ড নিজেই ভাঙছে পৃথিবী। সৃষ্টির সূচনা থেকেই এ কথা সর্বজনবিদিত যে, পৃথিবীর দু’টি গতি। আহ্নিক এবং বার্ষিক। আহ্নিক গতির ফলে দিন-রাত হয়। সময় লাগে ২৪ ঘণ্টা। অর্থাৎ একদিন। কিন্তু গত ২৯ জুলাই, শুক্রবার এই নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটেছিল। সেদিন পৃথিবী, নিজের চারপাশে এক পাক ঘুরে আসতে তথাকথিত ২৪ ঘণ্টা সময় নেয়নি। নিয়েছিল একটুখানি কম সময়। পরিসংখ্যানগতভাবে বললে অন্তত ১.৫৯ মিলিসেকেন্ড কম। আর তাতেই তৈরি হয়েছে নতুন রেকর্ড। পৃথিবী নিজেই নিজের রেকর্ড ভেঙে গড়েছে ক্ষুদ্রতম দিনের (Shortest Day) রেকর্ড। গত শুক্রবার, ২৯ জুলাই ছিল সেই ক্ষুদ্রতম দিন।
কিন্তু এর কারণ কী? উত্তর, পৃথিবীর গতি। বিজ্ঞানীরা বলছেন, সম্প্রতি নিজের গতি বাড়িয়ে চলেছে পৃথিবী। বলাই বাহুল্য, প্রদক্ষিণের গতি। ইতিপূর্বে ক্ষুদ্রতম দিনের রেকর্ড ছিল ২০২০ সালের ১৯ জুলাই-এর দখলে (১৯৬০ সালের পর)। সেদিন পৃথিবীর আহ্নিক গতি সম্পূর্ণ হতে সময় লেগেছিল ২৪ ঘণ্টা থেকে ১.৪৭ মিলিসেকেন্ড কম। পরের বছর ফের নিজের গতি বাড়িয়ে নেয় পৃথিবী (Earth Rotation Speed)। কিন্তু রেকর্ড কিছু তৈরি করতে পারেনি।
[আরও পড়ুন: ভারত মহাসাগরে ভেঙে পড়ল চিনা রকেট! ভাইরাল ভিডিও ঘিরে চাঞ্চল্য]
প্রশ্ন হল, পৃথিবীর গতির এই হেরফেরের কারণ কী? উত্তরটা স্পষ্ট নয় এখনও। তবে বিজ্ঞানীদের একাংশের অভিমত, নেপথ্যে থাকতে পারে পৃথিবীর অন্তঃ এবং বহিঃস্তরীয় ক্ষেত্রে আসা কোনও বদল। হতে পারে তা স্রোতভিত্তিক বা জলবায়ুভিত্তিক। আবার কেউ কেউ মনে করছেন, এর কারণ হল ‘চ্যান্ডলার ওবল’ অর্থাৎ মেরুদেশীয় এলাকার পৃষ্ঠতলে পৃথিবীর ঘূর্ণনগতির তারতম্য।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি পৃথিবীর গতি এইভাবে বাড়তে থাকে, তাহলে নেগেটিভ লিপ সেকেণ্ড তৈরি হবে। কিন্তু তার প্রভাব পড়বে যোগাযোগ ব্যবস্থায়। নেগেটিভ লিপ সেকেণ্ড বাড়তে থাকলে স্মার্টফোন, কম্পিউটার প্রভৃতি ব্যবহার করতে বিপাকে পড়বে সাধারণ মানুষ। তবে মহাকাশবিজ্ঞানীদের কাজে সাহায্য করবে এই ব্যবস্থা। কিন্তু নেগেটিভ লিপ সেকেণ্ডকে ব্যবহার করে যদি কোনও কাজ করা হয়,সেক্ষেত্রে ঝুঁকির পরিমাণ খুবই বেশি থাকবে।