shono
Advertisement

Breaking News

Snake

বিষহীনেও আতঙ্ক! জলপাইগুড়িতে বিরল সাপ দেখে বিভ্রান্তিতে পরিবেশকর্মীরা

'টুইন স্পটেড উলফ স্নেক' নামে ওই সাপটি এখন অতি বিরল।
Published By: Sucheta SenguptaPosted: 10:44 AM Oct 28, 2025Updated: 10:46 AM Oct 28, 2025

শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: রাতের অন্ধকারে শোয়ার ঘরে ঘুরঘুর করতে থাকা লিকলিকে সরু, ছোটখাটো সাপটিকে দেখে আতঙ্কে কাঁটা হয়ে গিয়েছিলেন বাড়ির লোকজন। উদ্ধার করতে গিয়ে পরিবেশকর্মীরাও খানিকটা বিভ্রান্ত। অচেনা এই সাপটি বিষাক্ত নাকি নির্বিষ? বুঝে উঠতে পারছিলেন না কেউই। ফলে সাপ ধরতে সাহসও হচ্ছিল না। শেষে অবশ্য কাটল সমস্ত বিভ্রান্তি। জানা গেল বেশ কিছু অজানা তথ্যও।

Advertisement

রবিবার রাতে জলপাইগুড়ির রানিনগর স্টেশন সংলগ্ন এলাকার এক বাড়িতে ঢুকে পড়ে একটি সাপ। রাতে খাওয়াদাওয়া মাথায় ওঠার জোগাড়। খবর পেয়ে পরিবেশকর্মী অঙ্কুর দাস ঘটনাস্থলে ছুটে যান। সাপটিকে দেখে তিনিও বিভ্রান্ত! এ তো চেনা সর্প নয়। সাপটির বিজ্ঞানসম্মত নাম - লাইকোডন জারা। সম্পূর্ণ বিষহীন এই সাপ। একে 'টুইন স্পটেড উলফ স্নেক' নামেও পরিচিত। একসময় ভারত, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কায় এই প্রজাতির সাপের দেখা পাওয়া গেলেও আজ অত্যন্ত বিরল।

বাড়িতে ঢুকে পড়েছিল বিরল প্রজাতির এই 'টুইন স্পটেড উলফ স্নেক'। নিজস্ব ছবি।

পরিবেশকর্মী অঙ্কুর দাস জানান, ''দীর্ঘদিন ধরে সাপ ধরছি। অভিজ্ঞতার পাশাপাশি সাপ সম্পর্কে কিছুটা হলেও পড়াশোনা রয়েছে। কিন্তু এই সাপটিকে এই প্রথম দেখলাম।'' পরে খোঁজখবর নিয়ে সাপটির পরিচয় জানিয়ে অঙ্কুরবাবু জানান, অত্যন্ত বিরল প্রজাতির সাপ এটি। জলপাইগুড়িতে এর আগে ধরা পড়েছে বলে তাঁর জানা নেই। রাতে ওই বাড়ি থেকে একটি কৌটোয় ধরা হয় সাপটিকে। উদ্ধারের পর ওই 'টুইন স্পটেড উলফ স্নেক'টিকে বনদপ্তরের হাতে তুলে দেন পরিবেশকর্মীরা। উল্লেখ্য, অনেক সময়ই সাপ দেখলে আতঙ্কে অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেকে। সাপ নির্বিষ হলেও তাদের সম্পর্কে তেমন জ্ঞান না থাকায় এই আতঙ্ক স্বাভাবিক। পরিবেশকর্মীরা  এবিষয়ে অনেক সময়ই জনগণকে সতর্ক করার কাজ করেন। তবে  'টুইন স্পটেড উলফ স্নেক' দেখে এবার তাঁরাও বিভ্রান্ত।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • জলপাইগুড়ির বাড়িতে ঢুকে পড়েছিল বিরল প্রজাতির একটি সাপ।
  • তা বিষধর নাকি নির্বিষ, এনিয়ে ধন্দে পড়েন পরিবেশকর্মীরাও।
  • পরে তা উদ্ধার করে বনদপ্তরের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
Advertisement