সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নাম তার ‘ড্রাগন ম্যান’ (Dragon Man)। কিন্তু সে কোনও অতিমানব নয়। আসলে এটি সদ্য আবিষ্কৃত আদিম মানবের নয়া প্রজাতি ‘হোমো লঙ্গি’। যদিও ১৯৩৩ সাল থেকে এই প্রাগৈতিহাসিক করোটিটি চিনের (China) এক জাদুঘরে রয়েছে। গত শতাব্দীর তিনের দশকে উত্তর-পূর্ব চিনে মিলেছিল এই করোটি। তবুও একেবারে সদ্যই বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করতে পেরেছেন এই করোটি যে মানুষের, সে আজকের হোমো সাপিয়েন্সদের নিকটাত্মীয়।
এতদিন নিয়ান্ডারথাল মানুষদেরই মনে করা হত আধুনিক মানুষদের সবচেয়ে কাছের পূর্বপুরুষ। কিন্তু এবার মনে করা হচ্ছে, হোমো লঙ্গিরা তার চেয়েও বেশি কাছের। ওই প্রাগৈতিহাসিক করোটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা গিয়েছে তার মস্তিষ্ক আধুনিক মানুষদের তুলনায় ছোট হলেও অন্যান্য আদিম মানুষদের প্রজাতির থেকে বেশি বড়। বোঝা গিয়েছে এদের চক্ষুকোটর চৌকো, মোটা ভুরু, চওড়া মুখ ও মুখের তুলনায় আরও বড় আকারের দাঁত।
[আরও পড়ুন: মার্কিন পাইলটদের দেখা দিচ্ছে ভিনগ্রহীরা! UFO নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ আমেরিকার]
বিজ্ঞানীদের অনুমান, প্রায় ১ লক্ষ ৪৬ হাজার বছরের পুরনো ওই করোটি ছিল একজন ৫০ বছরের মানুষের। তারা ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে ঘুরে বেড়াত। মনে করা হচ্ছে, প্রতিকূল পরিবেশেই বাস করত এই হোমো লঙ্গিরা। মূলত এশিয়াতেই তাদের বাস ছিল। ডাঙায় বসবাসকারী শিকারী ছিল তারা। এদের চেহারা ছিল বেশ বলিষ্ঠ ও দীর্ঘ আকৃতির। এখনও ড্রাগন ম্যানকে নিয়ে গবেষণা চলছে। মনে করা হচ্ছে, অদূর ভবিষ্যতেই মানুষের বিবর্তনের ধারাকে আরও নতুন ভাবে বুঝতে পারবেন নৃতত্ববিদরা।
এদিকে ইজরায়েলের (Isarel) নাশের রামলায় প্রত্নতাত্বিক খনন করেও সম্প্রতি হাড়গোড়, খুলি পাওয়া গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে এসব আনুমানিক ১ লক্ষ ৪০ হাজার বছর আগেকার। পরীক্ষার পর বিশেষজ্ঞদের মত, নিয়ান্ডারথাল কিংবা হোমো সাপিয়েন্সের থেকে এসব গঠন খানিকটা পৃথক। এটিও একটি নতুন মানব প্রজাতির ফসিল বলে মনে করা হচ্ছে।