সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বনাঞ্চলের আয়তনের নিরিখে সারা বিশ্বের মধ্যে নবম স্থানে উঠে এল ভারত। পরিবেশ সংরক্ষণে ভারতের জঙ্গলের আয়তন বৃদ্ধির চেষ্টাই এই স্বীকৃতি এনে দিল। কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকের তরফে এর কৃতিত্ব দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বন সংরক্ষণের কাজে থাকা কর্মীদের। ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন-এর বালি (ইন্দোনেশিয়া) থেকে প্রকাশিত গ্লোবাল ফরেস্ট রিসোর্সেস অ্যাসেসমেন্ট ২০২৫-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারত এখন বিশ্বের মধ্যে মোট বনভূমির পরিমাণের দিক থেকে নবম স্থানে উঠে এসেছে। আগের মূল্যায়নে ভারতের স্থান ছিল দশম। পাশাপাশি, বার্ষিক বনভূমি বৃদ্ধির হারে ভারত তৃতীয় স্থান ধরে রেখেছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বে মোট বনাঞ্চলের পরিমাণ ৪.১৪ বিলিয়ন হেক্টর, যা পৃথিবীর ভূমির ৩২ শতাংশ স্থান জুড়ে রয়েছে। এর মধ্যে ৫৪ শতাংশ বনভূমি রয়েছে রাশিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, আমেরিকা ও চিনে। প্রথম দশে থাকা বাকি দেশগুলি হল অস্ট্রেলিয়া, ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গো, ইন্দোনেশিয়া ও ভারত। ২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বনভূমির আয়তন সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে চিনে। প্রতি বছর দেশটিতে বনভূমি বেড়েছে ১.৬৯ মিলিয়ন হেক্টর। ভারতে বেড়েছে ১.৯১ হাজার হেক্টর। এছাড়া তুরস্ক, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, দক্ষিণ আফ্রিকা, কানাডা, ভিয়েতনামও এই সময়ে উল্লেখযোগ্য হারে বনভূমি বাড়িয়েছে।
এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব বলেন, "সমস্ত ভারতবাসীর জন্য গর্বের মুহূর্ত। এই তথ্য ভারতের সবুজ ভবিষ্যতের প্রতি আমাদের অঙ্গীকারের প্রমাণ।" মোদি সরকারের বন সংরক্ষণ ও বর্ধনের জন্য গৃহীত সরকারের নীতি ও প্রকল্পসমূহ এবং রাজ্য উদ্যোগে ব্যাপক বৃক্ষরোপণ কার্যক্রমকেই এই সাফল্যের ভিত বলে মন্তব্য করেন তিনি। এফএও-র রিপোর্ট প্রকাশের পর 'এক্স' হ্যান্ডেলে ভূপেন্দ্র যাদব লেখেন, "প্রধানমন্ত্রীর 'একটি গাছ, মায়ের নামে' এই বার্তা ও পরিবেশ সংরক্ষণে তাঁর অবিচল অঙ্গীকার দেশের মানুষকে ব্যাপক হারে বৃক্ষরোপণ ও বন সংরক্ষণে উৎসাহিত করেছে।"
এই বাড়তে থাকা জনসচেতনতা ও তাদের অংশগ্রহণ এক দৃঢ় ও পরিবেশবান্ধব ভবিষ্যতের দিকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বলে দাবি পরিবেশমন্ত্রীর। তাঁর কথায়, ''এই সাফল্য শুধুমাত্র একটি সরকারি পদক্ষেপ নয়, এটি দেশের জনগণের মধ্যে গড়ে ওঠা এক দায়িত্ববোধের প্রতিফলন।" সাংগঠনিক বিশ্লেষকদের মতে, ভারতের এই উন্নতি শুধু পরিসংখ্যানগত সাফল্য নয়, বরং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে ভারতের বৈশ্বিক নেতৃত্বের পরিচয় বহনকারী।
