সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনা ইদানী অনেকাংশেই বৃদ্ধি পেয়েছে। এমন দুর্যোগের হাত থেকে নিস্তার পাওয়ার ক্ষেত্রে এবার পথ দেখাচ্ছে ইসরো। উপগ্রহ ব্যবহার করে আবহাওয়া ক্ষেত্রে নতুন দিশা দেখাল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। যার মধ্যে কোন জায়গায় কখন বজ্রপাত হতে পারে সেই বিষয়ে এবার পূর্বাভাসও দেওয়া যাবে বলে জানিয়েছে তারা। জিওস্টেশনারি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে এই পূর্বাভাস করা সম্ভব হবে। এবং সেই পূর্বাভাসও করা যাবে প্রায় আড়াই ঘণ্টা আগে।
ইসরোর ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টার এনআরএসসি-র উদ্যোগে এই কাজটি করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ভরা বর্ষায় হোক কিংবা বছরের অন্য যে কোনও সময়েই, ভারী মেঘের কারণে বজ্রপাতের অজস্র ঘটনা ঘটে। গত কয়েক বছরে তার পরিমাণও বেড়েছে বলে পরিসংখ্যান জানাচ্ছে। যার জন্য ঘটেছে বহু প্রাণহানি। গবাদিপশুরও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।
তবে পূর্বাভাস মিললে তার জেরে বহু প্রাণই রক্ষা করা যাবে বলে আশাবাদী ইসরো। মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র জানিয়েছে, প্রাকৃতিক কারণে যে বজ্রপাত হয় তার প্রতিটি পূর্বাভাস করা সম্ভব হয় না কারণ বাতাসে তাপমান, আর্দ্রতা, বায়ুর গতিবেগ এবং তার চাপ—— অনেক কিছুর উপরেই।
প্রসঙ্গত, ২০২৫ সালে ইসরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ মিশনের পরিকল্পনা করেছে। রয়েছে গগনযানের মতো গগনচুম্বী প্রকল্পও। এবছরই আরেকটা সাফল্য পেয়েছিল ইসরো। মহাকাশে স্বয়ংক্রিয় ভাবে ‘করমর্দন’ করেছিল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার দুটি স্যাটেলাইট। রাশিয়া, আমেরিকা, চিনের পর বিশ্বের চতুর্থ দেশে হিসাবে এই সাফল্য অর্জন করেছে ভারত। যা মহাকাশ স্টেশনের তৈরির পথ প্রশস্ত করবে। যা সাহায্য করবে চন্দ্রযান ৪ অভিযানের ক্ষেত্রেও।