সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সব কিছু ঠিক থাকলে ২০২২ সালেই মহাকাশে মানুষ পাঠাবে ভারত। ইসরোর ‘গগনযান’ (Gaganyaan) প্রকল্পের কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। পরের বছর সেই মহাকাশযানে করেই মহাকাশে মানুষ পাঠাবে ভারত। আর সেই অভিযানের একেবারে চরম মুহূর্তের আগেই মহাকাশে একটি উপগ্রহ পাঠাবে ইসরো (ISRO)। সেই উপগ্রহটির কাজই হবে উৎক্ষেপণের পর থেকে গগনযানের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলা। সূত্রানুসারে এমনটাই জানা গিয়েছে।
এই ধরনের বিশেষ উপগ্রহকে বলা হয় ‘ডেটা রিলে স্যাটেলাইট’। নামকরণ থেকেই পরিষ্কার, পৃথিবীর গ্রাউন্ড স্টেশনের কাছে গগনযানের পাঠানো তথ্য পৌঁছে দিতে সাহায্য করবে এই উপগ্রহ। আসলে অনেক সময়ই গ্রাউন্ড স্টেশনে তথ্য পাঠানোয় সমস্যা দেখা যায়। সেক্ষেত্রে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নেবে ওই উপগ্রহ। সারাক্ষণ নজর রেখে চলবে গগনযানের গতিবিধির উপরে। ইতিমধ্যেই অনুমোদন পেয়ে গিয়েছে এই প্রকল্প। এর পিছনে খরচ হবে ৮০০ কোটি টাকা।
[আরও পড়ুন: আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক তলানিতে, নিজেদের স্পেস স্টেশন বানাচ্ছে রাশিয়া]
প্রসঙ্গত, এবছরের ডিসেম্বরেই গগনযানের প্রথম পর্যায়ের উড়ান। তবে তাতে কোনও মানুষ থাকবে না। আগামী বছর অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে তিন ভারতীয় যাত্রা করবেন মহাকাশে। এমাসের গোড়াতেই এক ফরাসি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি হয়েছে ইসরোর। তারা ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থাকে সাহায্য করবে ওই অভিযানের বিষয়ে। মূলত তাদের তত্ত্বাবধানেই প্রশিক্ষণ নেবেন ভারতীয় মহাকাশচারীরা।
চন্দ্রযানের ব্যর্থতার পরে ইসরোর অন্যতম স্বপ্নের প্রকল্প গগনযান। এর জন্য বিশেষ ভাবে প্রস্তুতি নিয়েছে ইসরো। সাধারণত মহাকাশ থেকে ফেরার সময় পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ঢুকলে ঘর্ষণের ফলে মহাকাশযানে আগুন লাগার আশঙ্কা থাকে। কিন্তু গগনযানের ক্ষেত্রে যাতে তেমন না হয়, তা নিশ্চিত করতে চায় ইসরো। তারা এমন বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করছে যাতে বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে ঘর্ষণে আগুন লাগলেও, তা ছড়িয়ে পড়বে না। ফলে নিরাপদেই ভূপূষ্ঠে অবতরণ করতে পারবেন মহাকাশচারীরা।