সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একশো বছর পর অরুণাচল প্রদেশে গবেষকরা বিরল উদ্ভিদের খোঁজ পেলেন। যে গাছ এককালে পরিচিত ছিল ‘ইন্ডিয়ান লিপস্টিক প্লান্ট’ কিংবা ভারতীয় লিপস্টিক গাছ (Lipstick plant) নামে।
বোটানিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার গবেষকরা অরুণাচলের আজওয়ান জেলায় এই বিরল প্রজাতির গাছের হদিশ পেয়েছেন। ১৯১২ সালে ব্রিটিশ বোটানিস্ট স্টিফেন ট্রয়টে ডুন প্রথমবার চিহ্নিত করেছিলেন। এই প্রজাতির বিভিন্ন গাছের লাল রঙের ফুলগুলি অনেকটা লিপস্টিকের মতো দেখতে হওয়ার কারণেই এমন নাম দেওয়া হয়েছিল। তবে এই প্রজাতির উদ্ভিদের পোশাকি নাম Aeschynanthus monetaria Dunn। গবেষকরা একটি সায়েন্স জার্নালে জানাচ্ছেন, এই ধরনের কোনও গাছ ১৯১২ সালের পর আর ভারতে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
[আরও পড়ুন: ‘সলমনকে খুনের হুমকি দিয়ে চিঠি পাঠাইনি’, পুলিশের জেরায় দাবি গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের]
তবে এই গাছের পোশাকি নামের মানে জানলে খানিকটা অবাকই হবেন। গ্রিক শব্দ aischyne বা aischyn থেকে Aeschynanthus শব্দটি এসেছে। যার মানে হল লজ্জা। আর অ্যান্থসের অর্থ ফুল। এর পাতাতেও রয়েছে বিশেষত্ব। পাতার উপরের অংশ সবজে হলেও নিচের অংশের রং বেগুনি ও সবুজ। এই গাছে ফল ও ফুল ফোটে অক্টোবর থেকে জানুয়ারি মাসের মধ্যে।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, চিরসবুজ অরণ্যের মাঝেই সাধারণত এই প্রজাতির গাছগুলি বেড়ে ওঠে। আর্দ্র পরিবেশ এই গাছের অনুকূল। যে সে পরিবেশে একেবারেই নিজেদের মানিয়ে নিতে পারে না এই লিপস্টিক গাছ। আজওয়ান জেলায় মাঝেমধ্যেই ধস নামে। তাছাড়া জঙ্গল কেটে তৈরি হয় পিচের রাস্তা, কনক্রিটের ঘর-বাড়ি, বাজার। আবার ঝুম চাষও ব্যাপক পরিমাণে হয় এই জেলায়। এই সমস্ত বিষয়গুলি এই প্রজাতির গাছের জন্য একেবারেই প্রতিকূল। তাই সভ্যতার উন্নতির সঙ্গে ধীরে ধীরে হারিয়ে গিয়েছিল এই গাছও। এবার খানিকটা অপ্রত্য়াশিতভাবেই লিপস্টিক গাছের হদিশ পেলেন গবেষকরা।