সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রেকর্ড ভাঙা তাপমাত্রা বৃদ্ধি। আর তাতেই কীটপতঙ্গদের বংশবিস্তার এবং সক্রিয়তা বাড়ছে। যার ফলস্বরূপ প্রথমবার মশার কামড় খেলেন আইসল্যান্ডবাসী! শুনতে আশ্চর্য লাগলেও এটাই খাঁটি সত্যি। এই প্রথম আইসল্যান্ডে মশা দেখা গেল। জীববিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, দুটি স্ত্রী মশা ও একটি পুরুষ মশার অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে। পতঙ্গবিদদের মতে, কিউলিসেটা অ্যানুলাটা নামে ওই প্রজাতির মশা নাকি কম তাপমাত্রাযুক্ত জায়গাতেও দিব্যি বেঁচে থাকতে পারে। পৃথিবীতে মাত্র দুটি স্থান এতদিন মশকহীন ছিল, আইসল্যান্ড এবং আন্টার্কটিকা। উষ্ণায়নের দাপটে এবার আইসল্যান্ড সেই তকমা খোয়াল।
আচমকা নয়, আইসল্যান্ডে নাকি মে মাস থেকেই তাপমাত্রার পারদ রেকর্ড ভেঙেছে তো ভেঙেছেই। ২০ থেকে ২৬ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড পর্যন্ত তাপমাত্রা উঠেছিল। উত্তর থেকে দক্ষিণে ১ ডিগ্রি থেকে মাইনাস ১ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের মধ্যে ঘোরাফেরা করে। গ্রীষ্মে রাজধানী রিকজাভিকের উষ্ণতা কখনও কখনও ১০-১১ ডিগ্রি ওঠে। কিন্তু তাই বলে ২০ ডিগ্রি! অস্বাভাবিক এবং অচেনা পরিবেশ। কিন্তু উষ্ণায়নের দাপটে এখন সব জায়গার মতো আইসল্যান্ডের পরিবেশও বদলে গিয়েছে। যার ফলে কিউলিসেটা অ্যানুলাটা প্রজাতির মশা অনায়াসে ঢুকে পড়েছে সেখানে। এই প্রজাতি ইউরোপ ও উত্তর আফ্রিকায় দেখা যায়। কীভাবে তারা আইসল্যান্ডে পৌঁছল, সেই প্রশ্নের উত্তর এখনও পাননি পতঙ্গবিদরা।
পতঙ্গবিদ বাইয়ন জালটাসন জানিয়েছেন, প্রথমবার একটি ওয়াইনের বোতলের রিবনে প্রথম মশা জাতীয় পতঙ্গ দেখা যায়। সেটা ছিল রিকজাভিকের দক্ষিণ-পশ্চিমের একটি স্থানে। জালটাসনের গবেষণা অনুযায়ী, ওই প্রজাতির মশার অস্তিত্ব দেশের জীববৈচিত্র্যে বড়সড় ধাক্কা দিয়েছে। ওই মশা যেমন শীতল আবহাওয়ায় নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে সক্ষম, তেমনই তাপমাত্রার হেরফেরেও আত্মরক্ষা করতে পারে তারা। তবে এখন আইসল্যান্ডে মশার বিচরণ যে পর্যায়ে রয়েছে, তা ভালোভাবে পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। তবে মশাহীন আইসল্যান্ডে মশার প্রবেশই জলবায়ু পরিবর্তনের সাক্ষী।
