সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চাঁদে ফের মানুষ পাঠানোর পথে এক ধাপ এগিয়ে গেল নাসা (NASA)। বুধবার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে রকেট উৎক্ষেপণ করেছে মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি। মহাকাশযানে মানবদেহের সেন্সর-সহ তিনটি ম্যানিকুইনও পাঠানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, প্রথমবার চাঁদে মানুষ পাঠানোর পঞ্চাশ বছরেরও বেশি সময় কেটে গিয়েছে। বর্তমান সময়ে ফের চাঁদ ও মঙ্গলগ্রহে মানুষকে পাঠাতে উদ্যোগী হয়েছে নাসা। সেই জন্যই আর্টেমিস (Artemis) প্রজেক্ট শুরু করা হয়েছে। আগামিদিনে এই মিশনের মাধ্যমেই ফের মহাশূন্যে মানুষ পাঠিয়ে গবেষণা চালানো হবে।
জানা গিয়েছে, বিশ্বের বৃহত্তম রকেটটি বুধবার উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। সমস্ত কিছু সূচি অনুযায়ী হলে, আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যেই চাঁদের কক্ষপথে ঢুকে পড়বে এই রকেটটি। সেখানে একটি ‘ক্রু ক্যাপসুল’ নামিয়ে দেওয়া হবে। রকেটটি সরাসরি চাঁদের মাটিতে নেমে কাজ করতে পারবে না। সেই জন্য একটি বিশেষ যানকে ব্যবহার করবে নাসা। সেই যানকেই ক্রু ক্যাপসুল বলা হয়েছে। এই যানেই থাকবে তিনটি ম্যানিকুইন। মানুষকে চাঁদের মাটিতে পাঠানো হলে তারা কী কী সমস্যায় পড়তে পারে, সেই বিষয়গুলি খতিয়ে দেখতেই এই ম্যানিকুইন পাঠানো হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: বাতাসের মান ‘অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর’, বিশ্বে দূষিত শহরের তালিকায় দ্বিতীয় ঢাকা]
তবে এই রকেট পাঠানোর প্রক্রিয়া খুবই কঠিন হয়ে উঠেছিল নাসার পক্ষে। একাধিকবার জ্বালানির সমস্যায় থমকে গিয়েছিল রকেটের উৎক্ষেপণ। রকেট থেকে বারবার জ্বালানি বেরিয়ে যাচ্ছিল। এমনকি উৎক্ষেপণের আগের দিনই এই সমস্যায় পড়তে হয় নাসার বিজ্ঞানীদের। তবে শেষ পর্যন্ত সফলভাবেই রকেট উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। নাসার বিজ্ঞানীদের তরফে বলা হয়েছে, আর্টেমিস প্রকল্পকে বাস্তবায়িত করতে এই রকেটের উৎক্ষেপণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই মিশনের সাফল্যের উপরে ভিত্তি করেই আগামিদিনে আর্টেমিস প্রকল্প এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।
বিশ্বের বৃহত্তম রকেট উৎক্ষেপণের ভিডিও প্রকাশ করেছে নাসা। সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, আর্টেমিস প্রজন্মের জন্য এই রকেট উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। অ্যাপোলো (Apollo) মিশনের পরে জন্মগ্রহণ করা জনতার কথা মাথায় রেখেই ফের মহাকাশে মানুষ পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে নাসা। এমনকি আর্টেমিসের সঙ্গে যুক্ত থাকা ব্যক্তিদের অধিকাংশই সর্বশেষ অ্যাপোলো মিশনের পরে জন্মেছেন। তবে অনেকেই মনে করছেন, মহাকাশ গবেষণায় আমেরিকা ও রাশিয়ার একচেটিয়া আধিপত্যে এবার ভাগ বসাতে চলেছে চিন। এহেন পরিস্থিতিতে ফের নিজের জায়গা পুনরুদ্ধার করতে মরিয়া আমেরিকা। সেই জন্যই আর্টেমিসের মাধ্যমে মহাকাশ গবেষণায় নতুন যুগ আনতে চাইছে নাসা।