সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নাসার (NASA) বহুচর্চিত চন্দ্রাভিযান (Moon mission) নিয়ে মহাকাশপ্রেমীর আগ্রহ দীর্ঘদিনের। কিন্তু সেই উচ্চাকাঙ্ক্ষী অভিযান আপাতত বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে। এই সংক্রান্ত নতুন রিপোর্টের দাবি,২০২৬ সালের আগে ওই অভিযান হওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই। গত সপ্তাহেই নাসার তরফে জানানো হয়েছিল, খুব তাড়াতাড়ি হলে ২০২৫ সালে ‘ক্রু লঞ্চ’ হবে। এরপরই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে, ২০২৬ সালের আগে চাঁদে মানুষ পাঠানো সম্ভব হবে না নাসার পক্ষে।
কিন্তু কেন এভাবে পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে অভিযান? জানা যাচ্ছে, চাঁদে নভোচর পাঠিয়ে তাঁদের পৃথিবীতে ফিরিয়ে নিয়ে আসার যা খরচ, সেটার হিসেবেই ভুল করে ফেলেছিল মার্কিন মহাকাশ সংস্থা। হিসেবে ভুল হয়ে যাওয়াতেই সমস্ত পরিকল্পনায় গণ্ডগোল হয়ে গিয়েছে।
১৯৬৯ সালে প্রথম বার চাঁদে মানুষ পাঠিয়ে ইতিহাস গড়েছিল আমেরিকা। আগামী চন্দ্রাভিযান নিয়েও আশাবাদী নাসা। মনে করা হচ্ছে, এবারের অভিযানকে মঙ্গলে মানুষ পাঠানোর ড্রেস রিহার্সাল হিসেবে দেখছে তারা। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে আচমকাই সেই স্বপ্নের অভিযান বিলম্বিত হয়ে গেল।
[আরও পড়ুন: Solar Eclipse 2021: ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই বছরের শেষ সূর্যগ্রহণ, দেখা যাবে কি ভারত থেকে?]
নাসা তাদের তিনটি মিশন বাবদ খরচের হিসেব করার সময় আর্টেমিস ৩ প্রকল্পের জন্য অতিরিক্ত ২৫ বিলিয়ন ডলার খরচ ধরেনি। আর সেই কারণেই তৈরি হয়েছে সমস্যা। এদিকে নাসা কর্তা বিল নেলসন জানিয়েছেন, ধনকুবের এলন মাস্কের সঙ্গে নাসার চুক্তি হয়েছে ল্যান্ডার তৈরির। কিন্তু সেই চুক্তি ঘিরে আইনি জটিলতার কারণেও টার্গেট ডেট পিছিয়ে গিয়েছে।
মহাকাশ রেসে আমেরিকার বরাবরের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল রাশিয়া (তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন)। কিন্তু পরবর্তী সময়ে রাশিয়াকে পিছনে ফেলে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে নাসা। এবার এই দৌড়ে ঢুকে পড়েছে চিনও। পরিস্থিতি যা তাতে চিনও যে কোনও সময় চাঁদে মানুষ পাঠানোর তোড়জোড় করতে পারে রাশিয়ার হাত ধরে, এমন কথা চোরাগোপ্তা শোনা গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নাসার চন্দ্রাভিযানের দিকেই চোখ সকলের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটাই পিছিয়ে গেল।