সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রত্নভাণ্ডারে ভরপুর পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ! সেখানে নাকি প্ল্যাটিনাম, রোডিয়ামের মতো বহুমূল্য সম্পদ রয়েছে। শুধু কি তাই? চন্দ্রপৃষ্ঠের কোনও কোনও গর্ত নাকি ভর্তি জলের মতো তরলেও। সম্প্রতি চাঁদের অন্তত সাড়ে ৬ হাজার গহ্বর বিস্তারিত পর্যবেক্ষণের পর এমনই দাবি করছে এক জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও তাঁর দলবল। যদিও তাঁরা স্রেফ সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন। সত্যিই চাঁদের বুকে প্ল্যাটিনামের খনি কিংবা জলের মতো তরল রয়েছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়া এখনও সময়ের অপেক্ষা।
সম্প্রতি এক গবেষণার রিপোর্টে দাবি, চাঁদের ৬৫০০ টি গহ্বর পর্যবেক্ষণ করে যা আন্দাজ পাওয়া গিয়েছে, তা হল চাঁদের বেশ কিছু গহ্বরে অতি মূল্যবান খনিজ সম্পদ রয়েছে। এই তালিকায় প্ল্যাটিনাম ছাড়াও রোডিয়াম, প্যালাডিয়ামের মতো ধাতুও আছে। মনে করা হচ্ছে, মহাশূন্যে যে সব গ্রহাণু অবিরত ঘুরে বেড়াচ্ছে, তাদের কোনওটা চাঁদের বুকে আছড়ে পড়ে ধ্বংস হচ্ছে এবং সেসবই এই বহুমূল্য সম্পদের উৎস। আবার তার মধ্যে প্রায় সাড়ে তিন হাজার গহ্বরে জলের মতো হাইড্রোজেন সমৃদ্ধ তরলও রয়েছে, যা প্রাণধারণের উপযোগী হতে পারে। জগন্নাথ চেন্নামঙ্গলম নামে এক জ্যোতির্বিজ্ঞানী নিজের টিম নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চাঁদের উপর এই গবেষণা চালিয়েছেন। তাতে তাঁর পর্যবেক্ষণ, ''পৃথিবীর কাছ দিয়ে যে সব গ্রহাণু চলে যাচ্ছে, তার বেশিরভাগটাই খনিজ সম্পদ সমৃদ্ধ। তার পরিমাণও পৃথিবীতে সঞ্চিত খনিজের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। সেগুলোই চাঁদে ধাক্কা খেয়ে আছড়ে পড়ছে। চন্দ্রগহ্বর হয়ে উঠছে খনিজে ভরপুর। এটা ভবিষ্যতে খুব লাভজনক হতে পারে।''
পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ নিয়ে এহেন সুখবরের পাশাপাশিই শুরু হয়েছে আশঙ্কা। তবে কি প্ল্যাটিনামের ভাণ্ডার করায়ত্ত করতে এবার চাঁদে ছুটবেন মুনাফালোভীরা? তার প্রতিযোগিতাও হয়ত শুরু হতে আর বেশি দেরি নেই। তবে গবেষক দল জানাচ্ছেন, এসব মূল্যবান ধাতু শুধু ব্যবসায়িক স্বার্থেই কাজে লাগবে, তেমনটা নয়। যদি উত্তোলন করা সম্ভব হয়, তবে চিকিৎসা ক্ষেত্রেও এর ব্যবহার অসীম। তবে গ্রহাণু থেকে ছিটকে আসা ধাতব সামগ্রীর স্থায়িত্ব চন্দ্রপৃষ্ঠে কদিন থাকবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। সেখানকার পরিবেশে সমস্ত গুণাগুণ নিয়ে এসব সঞ্চিত অবস্থায় নাও থাকতে পারে বলে আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের।
