সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফেব্রুয়ারিতেই জানা গিয়েছিল প্রাথমিক পরীক্ষায় পাশ করেছে চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3)। এখন কেবল ফাইনাল কাউন্টডাউনের অপেক্ষা। সব ঠিক থাকলে মাস দু’য়েকের মধ্যে মহাকাশ গবেষণায় ইতিহাস তৈরি করবে ইসরো (ISRO)। দিনক্ষণও প্রায় স্থির হয়ে গেল। আগামী জুলাই মাসে পৃথিবীর মায়া ডিঙিয়ে চাঁদে পাড়ি দেবে ভারতের চন্দ্রযান। চাঁদের মাটি, আবহাওয়া ইত্যাদি নানা বিষয়ে তথ্য পাঠাবে ভারতীয় বিজ্ঞানীদের তৈরি এই অত্যাধুনিক যানটি। যা বহু চর্চিত পৃথিবীর উপগ্রহটিকে নিয়ে গবেষণায় নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে।
চন্দ্রযান-২-এর উৎক্ষেপণ সফল হয়নি। চাঁদের মাটি সম্পর্কে তথ্য নিতে গিয়ে গতিবেগের গোলমালে চন্দ্রযানটি আছড়ে পড়েছিল সেখানে। তারপর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে ডাহা ফেল হয় মিশন। আত্মবিশ্বাস না হারিয়ে চন্দ্রযান-৩-কে সফল করতে উদ্যোগী ইসরোর বিজ্ঞানীরা। ইসরো সূত্রে খবর, জানুয়ারির শেষ থেকে ফেব্রুয়ারির প্রথম কয়েকদিনের মধ্যে চন্দ্রযান-৩’এর EMI ও EMC পরীক্ষা হয়েছে। প্রথমটি ইলেকট্রো ম্যাগনেটিক ইন্টারফেয়ারেন্স ও দ্বিতীয়টি ইলেকট্রো ম্যাগনেটিক কমপ্যাটিবিলিটি। দুই পরীক্ষাই মহাশূন্যে যন্ত্রপাতি ঠিকমতো কাজ করছে কি না, তা যাচাইয়ের জন্য করা হয়। সুখবর এই যে, দুই পরীক্ষাতেই পাশ করেছে চন্দ্রযান-৩। অর্থাৎ মহাকাশের পরিবেশে নিজের যন্ত্রপাতিকে সচল রেখে কাজ করতে সক্ষম ইসরোর তৈরি নতুন যান।
[আরও পডু়ন: ২ হাজারের নোট বদলাতে লাগবে না পরিচয়পত্র, বিশেষ ফর্ম, ঘোষণা SBI-এর]
রবিবার জানা গিয়েছে, চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণের জন্য মোটের উপর তৈরি ইসরো। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার এক আধিকারিক বলেছেন, “জুলাইয়ের প্রথম অথবা দ্বিতীয় সপ্তাহে চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণ হতে পারে। কেবল নির্দিষ্ট দিন নির্ধারণ করা বাকি।” চন্দ্রাভিযানের তৃতীয় মহাকাশ যানটি উৎক্ষেপণ করা হবে শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্রের সবচেয়ে ভারী লঞ্চ ভেহিকেল থেকে। যেটির নাম মার্ক-৩। সম্প্রতি ইসরো প্রধান এস সোমনাথ বলেন, “চন্দ্রযান-৩ এর প্রাথমিক লক্ষ্য হল পরিকল্পিত অবতরণ প্রক্রিয়া। তার জন্য দিনরাত কাজ করছেন বিজ্ঞানীরা। বেশ কিছু নতুন যন্ত্র তৈরি করা হচ্ছে, সাফল্য নিশ্চিত করতে ব্যর্থতার দিকগুলিতে বিশেষ যত্ন নেওয়া হচ্ছে।”