shono
Advertisement

জলবায়ু বদলের অভিশাপ, পুনর্জন্ম হয়েও মৃত্যুফাঁদে তলিয়ে যেতে চলেছে ইটালির এই শহর!

উচ্চপ্রযুক্তি ব্যবহার করে পম্পেইকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করছেন গবেষকরা।
Posted: 04:56 PM Feb 22, 2022Updated: 05:19 PM Feb 22, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছাই থেকে ফিনিক্স পাখির মতো জেগে ওঠার গল্পের সঙ্গে হুবহু মিলে যেত ইটালির (Italy) পম্পেইয়ের পুনর্জাগরণের কাহিনী। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে নতুন করে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছিল শহরটি। পুরনো স্থাপত্যই নতুন মোড়কে আধুনিক রূপে বাড়ি, ঘরদোর তৈরি হয়েছিল। তাতে যেমন প্রাচীনত্বের ছোঁয়া ছিল, তেমনই ছিল নবীনের মিলেমিশে যাওয়া। কিন্তু পম্পেইয়ের (Pompeii) আকাশে ফের ধ্বংসের মেঘ। বলা হচ্ছে, বিশ্ব উষ্ণায়ন (Global Warming) এখানে এত বেশি প্রভাব ফেলেছে যে ফের তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা পম্পেইয়ের। প্রত্নতাত্বিকরা খোঁড়াখুঁড়ি করে, গবেষণা করে এমনই অশনি সংকেতের কথা শোনালেন।

Advertisement

 

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (EU)তরফে প্রায় ১২০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করে পম্পেইয়ে একটি প্রকল্প শুরু করেছে। পম্পেইকে বাঁচানোই এর মূল লক্ষ্য। ২০১৬ সাল থেকে কাজ শুরু হয়েছে। বলা হচ্ছে, অতিবৃষ্টি এবং অতি তাপমাত্রায় ফের পম্পেইয়ে ব্যাপক প্রভাব পড়বে। তার জেরে ফের ধ্বংসের মুখে পড়বে ইটালির এই শহর। কীভাবে তার প্রভাব পড়ছে, চুলচেরা অঙ্ক কষে সেদিকে নজর রাখছেন গবেষকরা। আজকের যুগে ধ্বংসের মুখ থেকে শহরকে বাঁচাতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের কথা ভাবছেন তাঁরা।

[আরও পড়ুন: ‘ক্রমাগত হুমকি পাচ্ছি’, ‘গেহরাইয়াঁ’ মুক্তির পর মুখ খুললেন পরিচালক শকুন বাত্রা]

সে প্রায় ১০ হাজার বছর আগেকার কথা। আবহাওয়া পরিবর্তনের (Climate Change) ভয়াবহ দাপটে বিলাসবহু বাসভবনের দেওয়াল, মেঝে ভেঙেচুরে তলিয়ে গিয়েছিল। উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে পাওয়া সেসময়ের ছবি দেখে সবটা স্পষ্ট হয়েছে বলে দাবি বিজ্ঞানীদের। সেসময়ও ছিল মোজাইকে বাঁধানো মেঝে। জুকট্রিগেল নামে এক বিশেষজ্ঞের কথায়, খুব কাছ থেকে ছবিগুলো দেখে বোঝা যায়, ইমারতগুলি ভেঙে পড়ার আগে পর্যন্ত কেমন ছিল। দেওয়াল, ছাদে ছবি আঁকা ছিল। সেই পুরনো স্থাপত্যকে মোটের উপর বজায় রেখেই পম্পেইকে পুনর্জাগরিত করা হয়েছিল। কিন্তু সেই জাগ্রত অবস্থা বুঝি আর বেশিদিন থাকবে না। আবহাওয়া বদলের জেরে ফের তা ধ্বংসের মুখে।

[আরও পড়ুন: মেডিক্যাল পড়ুয়াদের জন্য সুখবর, রাজ্যে বাড়ছে স্নাতকোত্তরের আসন]

পম্পেইয়ের ৬৬ একর জমিতে এখনও খোঁড়াখুঁড়ি হয়নি। তা যেমন ছিল, তেমনই আছে। গবেষকদের বক্তব্য, বেশিরভাগ অঞ্চলে নিকাশি ব্যবস্থা অত্যন্ত দুর্বল ছিল। সেই কারণে অতিবৃষ্টিতে কার্যত ডুবে গিয়েছিল শহরটি। এছাড়া অত্যন্ত গরমে সক্রিয় হয়ে উঠেছিল আগ্নেয়গিরিগুলি (Volcano)। তাতে লাভাস্রোতেও বিশাল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে শহরটির। এবারও প্রায় সেই একই সমস্যার মুখে পম্পেই। তবে এবার যন্ত্রমানব তথা রোবটের সাহায্য নিচ্ছেন গবেষকরা। যদি কোনওভাবে প্রাচীন শহরটিকে বাঁচানো যায়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement