রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকের পেটুয়াঘাট মৎস্য বন্দর থেকে উদ্ধার হয়েছিল বিরল প্রজাতির এক ইল (EEL) মাছ। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন সেটির নাম ‘এরিওসোমা বেঙ্গালেন্সি’। এর আগেও একটি ইল মাছ ধরা পড়েছিল এই বন্দরে। তবে তার প্রজাতি ছিল ভিন্ন।
প্রায় বছর খানেক আগে দেশপ্রাণ ব্লকের পেটুয়াঘাট মৎস্য বন্দর থেকে উদ্ধার হয় বিরল প্রজাতির ওই মাছ। মাছটির দুটি নমুনা সংগ্রহ করেন বাজকুল মিলনী মহাবিদ্যালয়ের প্রানীবিদ্যা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. দীপাঞ্জন রায় এবং তার কাছে গবেষণারত তপন খাটুয়া৷ প্রাথমিকভাবে দীপাঞ্জনবাবু মাছটিকে এরিওসোমা গনের মাছ হিসাবে শনাক্তকরন করেন৷ পরবর্তীকালে তিনি মাছের সঠিক প্রজাতি শনাক্তকরনের জন্য জুওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার বিজ্ঞানী ড. অনিল মহাপাত্রের কাছে মাছটির নমুনা দুটিকে পাঠান৷ অনিলবাবু, শুভেন্দু মিশ্র (বিজ্ঞানী), গবেষিকা স্মৃতিরেখা আচার্য এবং দীপাঞ্জনবাবু দীর্ঘ প্রায় একবছর গবেষণা করে এই মাছটিকে নতুন প্রজাতির মাছ হিসাবে প্রমাণ করেন৷ তাঁদের গবেষণা পত্রটি ১৩ জুলাই বুধবার প্রকাশিত হয়েছে।
[আরও পড়ুন: চাকরি দেওয়ার নামে কোটি-কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ, তেহট্টের TMC বিধায়ককে তলব]
দীপাঞ্জন বাবু ও ঝাড়গ্রাম রাজ কলেজের অধ্যক্ষ ড. দেবনারায়ন রায় পশ্চিমবঙ্গের ইল সম্পর্কিত একটি প্রজেক্ট পশ্চিমবঙ্গ সরকারের Department of Science and Technology and Biotechnology তে পাঠান এবং তারা সেই প্রজেক্টটি পান। সেই কারণে দেবনারায়ন বাবু ও দীপাঞ্জনবাবু পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উক্ত দপ্তরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এই প্রজেক্টে আর্থিকভাবে সাহায্য করার জন্য। যার ফলস্বরূপ এই নতুন প্রজাতির মাছটি পাওয়া সম্ভব হয়। দীপাঞ্জনবাবু তাঁর কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. পীযুষকান্তি দন্ডপাটকে বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়েছেন গবেষণা বিষয়ক সবরকম সাহায্য ও উৎসাহ দেওয়ার জন্য৷
প্রসঙ্গত, এই প্রজাতির মাছ বিশ্বে রয়েছে ৩৮ টি। ভারতে নতুন আবিষ্কার নিয়ে ৯টি এবং পশ্চিমবঙ্গে ছিল ৩টি। যেহেতু পশ্চিমবঙ্গ থেকে পাওয়া গিয়েছে তাই এরিওসোমা প্রজাতির সঙ্গে বেঙ্গলেন্সি নামটি যোগ করে ইল মাছটির নামকরণ করা হয়েছে এরিওসোমা বেঙ্গলেন্সি।