shono
Advertisement
New Born Baby

হাসি নয়, ভূমিষ্ঠ হয়েই কাঁদে শিশু, নবজাতকের কান্নার নেপথ্যে লুকিয়ে কোন বিজ্ঞান?

শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশের উপরই নির্ভর করে সব আবেগের বহিঃপ্রকাশ।
Published By: Sucheta SenguptaPosted: 05:37 PM Dec 15, 2025Updated: 05:39 PM Dec 15, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১০ মাস গর্ভের অন্ধকারে থাকার পর প্রথম পৃথিবীর আলো দেখে কেঁদে ওঠে নবজাতক। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন মা, বাবা। অন্যদের হয়ত মনে হয়, কান্নাকাটি করলে শিশুর বুকে চাপ পড়ে, কষ্ট হয়। কিন্তু সদ্য মা, বাবাই একমাত্র জানেন, এই কান্না কতটা ভালো, কতটা নিশ্চিন্তির। প্রথম কয়েকটা দিন শুধু কেঁদেই দিন কেটে যায় একরত্তির। বেশ কয়েকমাস পর থেকে সে খানিকটা খিলখিলিয়ে হাসে, খানিকটা মুচকি হাসি, অনেকটা কান্না। এসব আমরা দেখে অভ্যস্ত। যে কোনও শিশু এভাবেই বেড়ে ওঠে। কিন্তু জানেন কি নবজাতকের এই কান্নার নেপথ্যে রয়েছে একেবারে নিটোল এক বিজ্ঞান? আর তা দিয়েই ব্যাখ্যা করা যায় শিশুর প্রতিটি আচরণ।

Advertisement

গর্ভাবস্থার ১০ মাস পর্যন্ত শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশ হতে থাকে। জন্মের পরও দীর্ঘদিন তা হয়। তবে বিজ্ঞানীদের গবেষণা অনুযায়ী, মস্তিষ্কের সঙ্গে সঙ্গে একটা ভাষাও তৈরি হয় শিশুর। না, মায়ের ভাষায় প্রথম 'মা' বলে ডেকে ওঠা নয়, এখানে সংযোগ স্থাপনের প্রতীকী ভাষার কথা বলা হচ্ছে। বিজ্ঞান বলছে, বাইরের দুনিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য শিশু সর্বপ্রথম যে ভাষাটি শেখে, তা হল কান্না, হাসি বা রাগ নয়। আর তাই ভূমিষ্ঠ হয়ে সে কেঁদেই প্রকাশ করে নিজের আনন্দ, ভয়, উৎকণ্ঠা - সব। এই কান্নার নানাবিধ উপকারও আছে। ডাক্তাররা জানিয়েছেন, গলা চিরে কান্না হল শিশুর ফুসফুস, হৃদযন্ত্রের গঠন সম্পূর্ণ হওয়া, তার কার্যকারিতা স্বাভাবিক থাকার ইঙ্গিত। এছাড়া পেশির নমনীয়তা বাড়ায় এই কান্না।

বিজ্ঞান অনুযায়ী, ভ্রূণ তৈরির পর থেকে মাতৃজঠরে মস্তিষ্ক গঠনে শিশু কেবল একটি আবেগেরই বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে পারে। সেটা হল কান্না। জন্মের পর থেকে মস্তিষ্কের বাকি অংশ ধীরে ধীরে হাসি, রাগ, অভিমান, উত্তেজনার মতো আবেগ প্রকাশের জন্য পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। মোটামোটি দেড় থেকে দু'মাস বয়সে শিশুর মুখে হাসি ফোটে। তখনও সে অট্টহাসি করতে পারে না। ধীরে ধীরে সে শব্দ চিনতে পারে, বুঝতে পারে মানুষের মুখও। এভাবে চেনা মানুষের সঙ্গে প্রথম সংযোগ তৈরি হয় শিশুর। আর সর্বপ্রথম যে মানুষের সঙ্গে তার সম্পর্ক, হৃদ্যতা গড়ে ওঠে, তিনি হলেন শিশুর জন্মদাত্রী মা। বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার কান্না কমে আসে, বাড়ে হাসি-রাগের প্রকাশ। তাই তো বলা হয়, বুড়ো হওয়ার সঙ্গে চোখের জল শুকিয়ে আসে। এ শুধু আবেগের কথা নয়, খাঁটি বিজ্ঞান দিয়ে মানুষের সমস্ত আচরণ ব্যাখ্যা করা সম্ভব।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর প্রথম কেঁদে ওঠে নবজাতক, এর নেপথ্যে রয়েছে বিজ্ঞান।
  • বাইরের পৃথিবীর সঙ্গে যোগাযোগের জন্য কান্নাই হয়ে ওঠে তার প্রথম ভাষা।
  • ধীরে ধীরে হাসি, রাগ, অভিমানের মতো আবেগ তৈরি হয় তার।
Advertisement