রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: শীতের রোদ মাখা সমুদ্র সফরে এবার দ্বিগুণ আকর্ষণ। এবছর দিঘায় নেমেছে পরিযায়ী পাখিদের ঢল। ঘুরতে গেলেই চেনা-অচেনা সব রঙিন পাখিদের দেখা পাবেন পর্যটকরা। দিঘার বার্ড ভিউ পয়েন্টে গেলে চোখে পড়বে শুধুই রাশি রাশি পরিযায়ী পাখি। শামুকখোল, পানকৌড়ি, পাতি সরালি, খড়হাঁস, কে নেই তালিকায়? গাছের ডাল থেকে সমুদ্রের পাড় - পাখিদের কলকাকলিতে মুখরিত শীতের সৈকত শহর।
দিঘার প্রবেশদ্বারের কাছে মেরিন ড্রাইভ। তট লাগোয়া প্রায় ৫০ হেক্টর জায়গায় অবস্থিত বিশাল জলাশয় এখন পাখিদের কলতানে ভরপুর। গত প্রায় দু'বছর এই মৎস্য খামার সংস্কারের জন্য পাখিরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। কিন্তু চলতি বছর নভেম্বর মাস থেকে পুনরায় শীতের অতিথিদের আগমনে একেবারে যেন উৎসবের পরিবেশ মৎস্য খামারের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত। প্রতি বছর শীতে এসব পাখিদের দেখা মিললেও এবছর সেই সংখ্যা যেন ঢের বেশি।
মৎস্য খামারের বন ও জলাধারে নিশিবক, শামুকখোল, পানকৌড়ি, পাতি সরালি, খড়হাঁসের ভিড়। নিজস্ব ছবি।
পর্যটকরাও অপরূপ এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের স্বাদ নিতে ভিড় জমাচ্ছেন মৎস্য খামার চত্বরে। মূলত মৎস্য খামারের বন ও জলাধারে নিশিবক, শামুকখোল, পানকৌড়ি, পাতি সরালি, খড় হাঁসের মতো হরেক রকমের অতিথি পাখি ডানা ঝাপটাতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু বিদেশি পরিযায়ী পাখিরও আগমন ঘটেছে এই মৎস্য খামারে। রামনগর এক পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য দীপক সার বলেন, ''বর্তমানে পরিযায়ী পাখির সংখ্যা বেড়েছে। পর্যটকদের কাছে এই বার্ড ভিউ পয়েন্ট খুবই আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে। সারাদিন ডানা ঝাপটানোর পাশাপাশি কখনও কখনও জলের মধ্যে নেমে স্নানও করছে তারা। এই পাখি দেখার জন্য ভিড় জমান পর্যটকরা। পাখি দেখার জন্য রয়েছে বিশেষ বসার ব্যবস্থা।''
গাছের ডালই অস্থায়ী ঠিকানা শীতের অতিথিদের। মূলত শীতের সময় অনুকূল আবহাওয়ার জন্য এই সমস্ত অতিথি পাখিদের আগমন ঘটে এ রাজ্যে। শীতের পর পুনরায় ফিরে যায় তারা। জাঁকিয়ে শীত পড়েছে রাজ্যে। তাপমাত্রা আরও নামবে বলে মনে করছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। তাই ডিসেম্বরের শেষ বা জানুয়ারিতে আরও অতিথি পাখিদের আগমন ঘটবে বলে আশাবাদী পরিবেশবিদরা।
