সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উষ্ণায়নের (Global Warming) জেরে মেরু অঞ্চলের বরফ গলার খবর (Sea Ice Level) নতুন না। কিন্ত ক্রমশ তা ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। উপগ্রহ চিত্র অনুযায়ী, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে বরফ গলার পরিমাণ সবচেয়ে বেশি ছিল। বিজ্ঞানীদের দাবি, দক্ষিণ মেরু সাগরে (Southern Ocean) এত কম বরফ আগে কখনও দেখা যায়নি। তাঁদের আশঙ্কা, এমনটা চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে মেরু সাগর বরফশূন্য হয়ে পড়বে। এর পরিণতি ভেবে রাতের ঘুম উড়ে যাচ্ছে মেরু বিজ্ঞানীদের।
এর আগে ২০২২ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সব চেয়ে কম বরফ ছিল মেরু সাগরে। ওই দিন ভাসমান বরফ ছিল ১.৯২ মিটার স্কোয়ার কিলোমিটার জুড়ে। সাম্প্রতিক উপগ্রহ চিত্র পর্যালোচনা করে দেখা যাচ্ছে, গত ১২ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ মেরু সাগরের উপর ভেসে থাকা বরফের চাদর ছিল ১.৭৯ মিটার স্কোয়ার কিলোমিটার এলাকাজুড়ে। বিজ্ঞানীদের দাবি, প্রবল সূর্যালোকেও গলে না মেরুপ্রদেশের বরফ। সাদা বরফে বিচ্ছুরিত হয়ে যায় রোদ। তারপরেও এই হারে বরফ গলার পিছনে রয়েছে ভিলেন উষ্ণায়ন।
[আরও পড়ুন: ফের নিশানায় সংবাদমাধ্যম! তল্লাশির নামে চ্যানেলের অফিসে ঢুকে ‘পুলিশি তাণ্ডব’ কেরলে]
সম্প্রতি গার্ডিয়ান পত্রিকায় মেরু অঞ্চল নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানেও উল্লেখ করা হয়েছে, দক্ষিণ মেরুসাগরে এত কম পরিমাণ বরফ আগে কখনও ছিল না। এই ঘটনায় অশনি সংকেত দেখছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা জানান, যত মেরু বরফ গলবে তত সমুদ্রের জলস্তর বাড়বে। এছাড়াও সাগরে ভাসমান বরফ মেরুপ্রদেশের সামুদ্রিক ঝড়কে রুখে দেয়। বরফ গলার কারণে ওই অঞ্চল আর নিরাপদ থাকবে না। এর ফলে পরিবর্তন হবে স্থানীয় ভূপ্রকৃতির।