সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত মাসে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে প্রথম ভারতীয় হিসেবে পা রেখেছেন শুভাংশু শুক্লা। তারপর থেকে সেখানেই কাটছে তাঁর দিনকাল। তবে এবার ঘরে ফেরার পালা। আগামী ১৪ জুলাই ড্রাগন ক্যাপসুল আলাদা হবে স্টেশন থেকে। তারপর তাঁরা রওনা দেবেন পৃথিবী অভিমুখে।
২৬ জুন ইতিহাস তৈরি করেন ভারতীয় নভশ্চর শুভাংশু শুক্লা। অ্যাক্সিয়ম-৪ অভিযানের অংশ হিসাবে অন্য তিন মহাকাশচারীর সঙ্গে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন পৌঁছান শুভাংশু। তারপর গত কয়েকদিন ধরে মহাকাশ থেকে একাধিক বিষয়ে গবেষণা করেছেন তিনি। এবার ঘরে ফেরার প্রস্তুতি। ১৪ জুলাই ভারতীয় সময়ানুসারে ৪টে ৩৫ মিনিটে (আমেরিকার সময় ভোর ৭টা বেজে ৫ মিনিটে) ড্রাগন স্টেশন থেকে বিচ্ছিন্ন হবে। তারপর পৃথিবীর অভিমুখে যাত্রা করবে ড্রাগন।
প্রথম ভারতীয় হিসাবে স্পেস স্টেশনে পা রাখতেই তাঁকে জড়িয়ে ধরে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন সেখানে আগে থেকে উপস্থিত মহাকাশচারীরা। অ্যাক্সিয়ম-৪ অভিযানে অংশ নেওয়া শুভাংশু-সহ চার মহাকাশচারীকে ‘ওয়েলকাম ড্রিংক’ (স্বাস্থ্যকর খাবার) দিয়ে স্বাগত জানান তাঁরা। তবে মহাকাশে পৌঁছনোর পর শুভাংশু জানান, তাঁর মাথা ভারী লাগছে। আসলে যে কোনও মহাকাশচারীর প্রথম মহাকাশে গিয়ে একটু শারীরিক অস্বস্তি হয়। তবে দ্রুত সেই অবস্থা কাটিয়েও ফেলেন তিনি। কাজের পাশাপাশি নিজেকে ফিট রাখতে জিম করতেও দেখা যায় তাঁকে।
ফুটবল মাঠের আয়তনের মাধ্যাকর্ষণহীন আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র থেকে দ্রুত সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখতে পেয়েছেন তিনি। ৪০০ কিলোমিটার উঁচু থেকে পৃথিবীকে দেখতে কেমন লাগছে? এ প্রসঙ্গে শুক্লার জবাব, “পৃথিবীকে এমন স্থান থেকে দেখার সুযোগ পাওয়াটা একটা সৌভাগ্যের বিষয়। যাত্রাটা অসাধারণ ছিল। অসাধারণ! মহাকাশে আসার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলাম। কিন্তু যে মুহূর্তে আমি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে প্রবেশ করলাম, এই ক্রু সদস্যরা আমাকে এমন স্বাগত জানাল! তোমরা আক্ষরিক অর্থেই আমাদের জন্য তোমাদের ঘরের দরজা খুলে দিলে।''
