সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইতিহাস গড়ে মহাশূন্যে ভ্রমণই জাগিয়েছে উৎসাহ। অনন্ত আকাশে যে হাজারও আকর্ষণ! আর তারই প্রেমে পড়েছেন ভারতীয় বায়ুসেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেন তথা নভশ্চর শুভাংশু শুক্লা। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে আপাতত তিনি 'কোয়ারেন্টাইন' অর্থাৎ ফের পৃথিবীর জলহাওয়ায় শরীরকে অভ্যস্ত করার প্রক্রিয়ায় রয়েছেন। এরই মাঝে তাঁর নতুন আগ্রহ জেগেছে অ্যাস্ট্রোফটোগ্রাফিতে। অর্থাৎ মহাশূন্যের নানা আকর্ষণীয় ছবি তোলা। এভাবেই একদিন নিজের বেঙ্গালুরুর বাড়ির খোলা বারান্দা থেকে শক্তিশালী ক্যামেরায় ধরেছেন উজ্জ্বলতম নীহারিকা, কালপুরুষদের ছবি। নিজের এক্স হ্যান্ডলে তা শেয়ার করেছেন শুভাংশু।
নাসা, অ্যাক্সিয়ম স্পেস এবং ইসরোর যৌথ উদ্যোগে সম্প্রতি পরীক্ষামূলকভাবে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন ঘুরে এসেছে চার নভশ্চরের দল। অ্যাক্সিয়ম-৪ মিশনে মহাকাশযানের পাইলটের ভূমিকায় ছিলেন ভারতের শুভাংশু। গত ১৬ জুলাই সেখান থেকে স্বদেশে ফিরেছেন তাঁরা সকলে। ফিরে আপাতত কিছুদিন কোয়ারেন্টাইন পিরিয়ড কাটাচ্ছেন। মহাশূন্যে এতদিন ভেসে থাকার পর সটান পৃথিবীর মাটিতে পা রাখার মধ্যে যে শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ার তফাৎ রয়েছে, তার জন্য শরীরকে মানানসই করতে এই কোয়ারেন্টাইন। এই সময়ে খানিকটা বিশ্রামে রয়েছেন শুভাংশু। তার ফাঁকে ফাঁকে ক্যামেরায় চোখ রাখছেন মহাকাশে। আসলে স্পেস স্টেশনের কুপোলা থেকে যেভাবে গোটা ব্রহ্মাণ্ড প্রত্যক্ষ করেছেন, সেই জাদুদৃষ্টি তো অবিস্মরণীয়। মহাশূন্যের সেই রোমাঞ্চময় অবয়বেই আকৃষ্ট তিনি। আর তাই শক্তিশালী ক্যামেরায় ধরে রাখছেন সেসব আকর্ষণীয় ছবি।
নিজের বাড়ি থেকেই ওরিয়ন নেবুলা অর্থাৎ পৃথিবীর আকাশে খোলা চোখে দেখতে পাওয়া সুদূরের নীহারিকার ছবি তুলেছেন শুভাংশু। তুলেছেন কালপুরুষের ছবি। কালো অন্ধকারে ঢেকে থাকা গগনে নীহারিকার ঘন সংঘবদ্ধ লাল-নীল ছটা যে কত রূপসী, মহাকাশপ্রেমীরাই তা উপলব্ধি করতে পারবেন। শুভাংশু সেসব নিজের সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করে জানাচ্ছেন, মহাকাশ ভ্রমণের পর এখন তিনি জ্যোতির্চিত্রশিল্পে বেশ টান অনুভব করছেন। সেই টানেই এতরকম ছবি তোলা। আরও ছবি তুলবেন এবং প্রকাশ্যে আনবেন সকলের দেখার জন্য, সেই কথাও দিয়েছেন ভারতীয় মহাকাশচারী।
