সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এই মহাবিশ্বে মানুষ কি সত্য়িই একা? নাকি বিশ্বের অন্য প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে তাদের দোসররা? পৃথিবী ছাড়া অন্য গ্রহে কি রয়েছে প্রাণের স্পর্শ? এই সব প্রশ্নের উত্তর দীর্ঘ দিন ধরেই খুঁজে চলেছে মানুষ। গত শতাব্দীর পাঁচের দশক থেকে শোনা গিয়েছে ইউএফও’র (UFO) কথা। ভিনগ্রহীরা (Alien) অদ্ভুতদর্শন সব যানে করে নাকি ঘুরতে আসে আমাদের নীল রঙের গ্রহে। এমনই দাবি করতে দেখা গিয়েছে তথাকথিত কন্সপিরেসি থিয়োরির প্রবক্তাদের। এতদিন তা নিয়ে নানা বিতর্ক চলতে থাকলেও এবার কি মিলল ‘পাকা’ উত্তর?
আসলে তথ্যচিত্র নির্মাতা জেরেমি করবেল ও সাংবাদিক জর্জ ন্যাপ এমাসের গোড়ায় সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু ছবি ও ভিডিও শেয়ার করেছিলেন। তাঁদের দাবি ছিল, ওই ছবিগুলি মার্কিন নৌসেনার সদস্যদের তোলা এবং সেগুলি আসলে ভিনগ্রহীদের যান! এর আগেও এই ধরনের ছবি ঘিরে বিতর্ক ঘনালেও এবারের বিষয়টা একেবারেই আলাদা। কেননা ছবি ও ভিডিওগুলি যে ‘ফেক’ নয় এবং তা মার্কিন নৌসেনাকর্মীরই তোলা সেকথা মেনে নিয়েছে খোদ পেন্টাগন (Pentagon)! ‘দ্য ব্ল্যাক ভল্ট’ নামের এক ওয়েবসাইট এই বিষয়ে তাদের মত জানতে চেয়েছিল। সেই প্রসঙ্গে পেন্টাগনের এক মুখপাত্র সুজান গঘ জানিয়ে দিয়েছেন, ছবিগুলি সত্যিই নৌসেনার তোলা। তাঁর কথায়, ”আমি নিশ্চিত করে বলছি ওই সব ছবি ও ভিডিও মার্কিন নৌসেনার কর্মীদেরই তোলা।” তবে তিনি এও জানান, ওই সব উড়ন্ত বস্তুগুলি অপার্থিব যান কিনা তা তিনি নিশ্চিত করে বলতে পারবেন না। তাঁর এহেন মন্তব্যের পর থেকেই নতুন করে ভিনগ্রহের প্রাণীদের অস্তিত্ব ও তাদের পৃথিবী ভ্রমণের থিয়োরি নতুন অক্সিজেন পেল।
[আরও পড়ুন: মাকড়সার জাল থেকে বেরিয়ে এল সুর! অবাক কাণ্ড ঘটালেন বিজ্ঞানীরা]
ভিনগ্রহে প্রাণ আছে কিনা, তা নিয়ে আগ্রহ আজকের নয়। সত্যজিতের শঙ্কু কাহিনি হোক কিংবা কোন আদ্যিকালে এইচজি ওয়েলসের উপন্যাস, বারবার অন্য গ্রহের প্রাণীদের প্রসঙ্গ উঠে এসেছে সাহিত্যে-সিনেমায়। কিন্তু আজ পর্যন্ত এব্যাপারে কোনও নিশ্চিত ধারণা করে ওঠা যায়নি।
তবে মার্কিন নৌসেনার ওই ছবি কিংবা ভিডিও ছাড়াও গত ২-৩ বছরের মধ্যে এমন আরও নানা ছবি ঘিরে সরগরম হয়েছে আলোচনা। এমনও শোনা গিয়েছে, এবছরই নাকি এই ধরনের অজানা বস্তুর রহস্যকে নিয়ে রিপোর্ট দিতে পারে পেন্টাগন। আপাতত সেদিকেই চোখ রয়েছে সারা বিশ্বের এলিয়েনপ্রেমী মানুষদের।