সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহাবিশ্ব অপার রহস্য আর ঘটনার ঘনঘটায় ভরা। সেখানে কখন কী ঘটে যায়, বেশিরভাগটাই থাকে আড়ালে। যা কিছু জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের হাত ধরে সাধারণ মানুষ জানতে পারে, তা যৎকিঞ্চিৎ। তার মধ্যে সূর্যগ্রহণ, চন্দ্রগ্রহণ সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি তথ্য পাওয়া যায়। বিস্তর অঙ্ক কষে বিজ্ঞানীরা গ্রহণের দিনক্ষণ আগাম জানাতে সক্ষম। মহাকাশপ্রেমী মানুষজন সেই পূর্বাভাসের ভিত্তিতেই নজর রাখেন আকাশে, যদি বিরল কোনও মহাজাগতিক ঘটনা চাক্ষুস করা যায় - এই আশায়। তাঁদের জন্য বছরশেষেই সুখবর শোনালেন বিজ্ঞানীরা। একাধিক পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের সাক্ষী থাকবে ২০২৬ সাল। আকাশে ফের উদয় হবে বিরল 'রিং অফ ফায়ার'।
রিং অফ ফায়ার।
চাঁদ, পৃথিবী, সূর্যের মধ্যে লুকোচুরি খেলাটা বেশ আকর্ষণীয়। কখনও চাঁদের আড়ালে ঢাকা পড়ে যায় সূর্য, কখনও পৃথিবীর ছায়ায় উধাও হয় নক্ষত্র। আসলে এসবই ঘটে থাকে নক্ষত্রকে ঘিরে গ্রহ, উপগ্রহের অনবরত আবর্তনের কারণে। সেভাবেই ঘটে সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণ। তারও আবার ভেদাভেদ আছে। কখনও পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ, কখনও খণ্ডগ্রাস। চন্দ্রগ্রহণের ক্ষেত্রেও একই পর্যায় দেখা যায়। আগামী বছর একাধিক বিরল সূর্যগ্রহণের সাক্ষী হতে চলেছি আমরা। জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের সূত্রে জানা যাচ্ছে, আগামী ১৭ব ফেব্রুয়ারি, বিরলের মধ্যে বিরলতম পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ হবে। চাঁদের ছায়ায় সূর্য ঢেকে গিয়ে আকাশে উদয় হবে 'রিং অফ ফায়ার' বা বিখ্যাত 'হীরের আংটি'। ৯৬ শতাংশ সৌরশরীরই ঢেকে দেবে পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ। শুধু তাই নয়, এই পর্যায় স্থায়ী হবে ২ মিনিট ২০ সেকেন্ড ধরে! সে এক অপূর্ব দৃশ্য হতে চলেছে।
বিজ্ঞানীদের জানিয়েছেন, সবাই এর সাক্ষী থাকতে পারবেন না। আন্টার্কটিকা এলাকা প্রায় অন্ধকার হয়ে যাবে, তার পুরু বরফজমির উপর দ্যুতি ছড়াবে উঁকি দেওয়া সূর্যের একচিলতে অংশ। মেরুদেশে গ্রীষ্মকালেও যে তাপমাত্রা থাকে, তাতেও শ্বেতশুভ্র তুষারভূমিতে সৌরছটা অসাধারণ দৃশ্যকল্প তৈরি করতে চলেছে নিঃসন্দেহে। এরপরও পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ হবে আগামী বছরের ১২ আগস্ট। তা দেখা যাবে গ্রিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড থেকে। এই সমস্ত জায়গায় দিনের আলোয় নেমে আসবে ঘোর আঁধার।
