সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: আমফানের (Amphan) ত্রাণে স্বজনপোষণের অভিযোগ স্বীকার করে নেওয়ায় মঙ্গলবার কান ধরে গ্রামবাসীর কাছে ক্ষমা চাইতে হয়েছিল এক পঞ্চায়েত সদস্যকে। সেই ঘটনার রেশ ধরে বুধবার ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার (South 24 Pargana) মথুরাপুর ২ নম্বর ব্লকের নন্দকুমারপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। বিজেপির নেতৃত্বে পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। ধস্তাধস্তিতে জড়ালেন পুলিশের সঙ্গে।
দীর্ঘদিন ধরেই ত্রাণ বিলি নিয়ে একাধিক অভিযোগ প্রকাশ্যে আসছিল। জেলার বিভিন্ন প্রান্তের ক্ষতিগ্রস্তরা অভিযোগ করছিলেন যে, তাঁরা ত্রাণ পাচ্ছেন না। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবারই ত্রাণে স্বজনপোষণের অভিযোগ স্বীকার করে নেওয়ায় মথুরাপুরের নন্দকুমার পঞ্চায়েতের এক সদস্যকে কান ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করেছিলেন গ্রামবাসীরা। স্থানীয়দের অভিযোগ, সেই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে মঙ্গলবার গভীর রাতে তাঁদের উপর চড়াও হয় শাসকদলের দুষ্কৃতীরা। মারধর করা হয় বাসিন্দাদের। দেওয়া হয় হুমকিও। ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার বিজেপির নেতৃত্বে গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করে তুমুল বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। জোর করে তাঁরা পঞ্চায়েত কার্যালয়ে ঢোকার চেষ্টা করলে বাধা দেয় পুলিশ। সেই সময় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা। পরে প্রশাসনিক আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের অভিযোগের যথাযথ তদন্ত ও দাবি বিবেচনার আশ্বাস দিলে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
[আরও পড়ুন: তৃণমূল কর্মীদের হাতে নিগৃহীত বিজেপি কর্মীর স্ত্রী, নির্যাতিতার বাড়ি গেলেন অগ্নিমিত্রা]
শাসকদলের অভিযোগ, বিজেপি রাজনৈতিক ফায়দা লুঠতে মিথ্যে অভিযোগ করে মানুষকে খেপিয়ে তুলতে চাইছে। যদিও এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই দাবি বিজেপির। তাঁদের কথায়, সাধারণ মানুষ শাসকদলের দুর্নীতি ধরে ফেলেছেন। তারা প্রশাসনের বিরুদ্ধে তাঁরা মুখ খুলতেই ভয় পেয়ে গিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। সেই কারণেই বিজেপিকে কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে।
দেখুন ভিডিও :
[আরও পড়ুন: পেটের টানে নদীতে যাওয়াই কাল, স্ত্রীর সামনেই মৎস্যজীবীকে টেনে নিয়ে গেল কুমির]
The post পঞ্চায়েত সদস্যকে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করায় ‘হুমকি’ তৃণমূলের, বিজেপির নেতৃত্বে পালটা হামলা স্থানীয়দের appeared first on Sangbad Pratidin.