সুকুমার সরকার, ঢাকা: বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপন নিয়ে বাংলাদেশের (Bangladesh) মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরোধিতার, মূর্তি ভাঙচুরের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের উত্তপ্ত পরিস্থিতি। এবার কুষ্টিয়ায় বিপ্লবী বাঘাযতীনের (Baghajatin) ভাস্কর্য ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাতের দিকে কোনও এক সময় দুষ্কতীরা এই কাণ্ড ঘটায় বলে অনুমান স্থানীয় বাসিন্দাদের। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
বিপ্লবী বাঘাযতীন ওরফে যতীন্দ্রমোহন মুখোপাধ্য়ায়ের ভাস্কর্যটি কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালির কয়া মহাবিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে, সড়কের পাশে স্থাপিত। কয়া মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ হারুণ অর রশিদ জানান, করোনার কারণে মহাবিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। তার মাঝে কারা এভাবে ভাঙচুর করল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। শুক্রবার সকালে দেখা যায়, আবক্ষ মূর্তির গালে, নাকের আঘাত করা হয়েছে, তার কিছু কিছু অংশ ভাঙা। যা দেখে বিস্ময়ের পাশাপাশি ক্ষুব্ধও হন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা বলেন, কে বা কারা ভাস্কর্য ভাঙচুর করেছে, কেনই বা এমন কাজ, কিছুই বোঝা যাচ্ছে না।
[আরও পড়ুন: বাংলাদেশে পালিত হচ্ছে বিজয় দিবস, পাকিস্তানকে ক্ষমা চাইতে বললেন বিদেশমন্ত্রী]
ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম বড় যোদ্ধা বাঘাযতীনের জন্মস্থান এই কয়া গ্রাম। তিনি একাই বাঘের সঙ্গে লড়াই করে তাকে হত্যা করার পর ‘বাঘাযতীন’ নামে পরিচিতি পেয়েছিলেন। তাঁর স্মৃতিকে ধরে রাখতে গ্রামের মহাবিদ্যালয়ের সঙ্গে ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়। কুমারখালি উপজেলা প্রশাসনের বাস্তবায়নে ২০১৬ সালের ৬ ডিসেম্বর তৎকালীন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার আবদুস সামাদ ভাস্কর্যটির উদ্বোধন করেছিলেন।
[আরও পড়ুন: রেলপথে জুড়ল ভারত-বাংলাদেশ, পাঁচ দশক পর শুরু হলদিবাড়ি-চিলাহাটি ট্রেন পরিষেবা]
এই ঘটনার খবর পেয়ে কুমারখালি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজীবুল ইসলাম খান ও সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান তদারকিতে গিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী আধিকারিক রাজিবুল ইসলাম খান বলেন, ”ভাস্কর্যের ডান গালে ও নাকের উপর আঘাতের চিহ্ন দেখা গিয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার এস এম তানভির আরাফাত জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে ও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।