সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২০-তে ফের নক্ষত্র পতন হলিউডে। প্রয়াত হলিউডের প্রথম ‘জেমস বন্ড’ শন কনারি (Sean Connery)। মৃত্যুকালে এই স্কটিশ অভিনেতার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। দীর্ঘদিন ধরেই জটিল অসুখ ভুগছিলেন তিনি। ভারতীয় সময় শনিবার সন্ধে নগাদ বাহামা দ্বীপপুঞ্জে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
কনারির প্রথম জীবনটা অবশ্য একেবারেই জেমস বন্ডচিত নয়। জন্ম হয়েছিল খুব সাধারন ঘরে। বাবা ছিলেন লরিচালক এবং মা ছিলেন ধোপানি। মাত্র ১৬ বছর বয়সে সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন শন। স্বাস্থ্য অবনতির জেরে তিন বছরের মধ্যে তাঁকে বাহিনী থেকে ফিরে আসতে হয়। এরপর কখনও বাড়ি-বাড়ি দুধ দিয়েছেন তো কখনও ব্যাক স্টেজের ছোটখাটো কাজ করেছেন। অবশেষে ১৯৫৭ সালে তিনি অভিনয়ের প্রথম অফার পান। ছবির নাম ছিল ‘নো রোড ব্যাক’। এর প্রায় পাঁচ বছর বছর পর ‘007’ রূপে রুপালি পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেন তিনি।
[আরও পড়ুন : গান্ধীর ইচ্ছাতেই ‘দুর্বল চিত্তের’ নেহরুকে প্রধানমন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেন প্যাটেল! দাবি কঙ্গনার]
এরপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি শন-কে। ১৯৬২ থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত জেমস বন্ডের (James Bond) ভূমিকায় দাপিয়ে বেরিয়েছেন তিনি। জেমস বন্ড হিসেবে ৭টি ছবি করেছেন শন। ডক্টর নো, ইউ ওনলি লিভ টোয়াইস, ডায়মন্ডস আর ফরেভার এবং নেভার সে নেভার এগেইনের মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। দর্শকদের মতে এখনও পর্যন্ত তিনিই শ্রেষ্ঠ জেমস বন্ড।
তবে শুধু জেমন বন্ড নয়। পর্দায় বিভিন্ন সময় চরিত্রের প্রয়োজনে নিজেকে ভেঙেছিলেন শন। ৮৭ সালে রূপালি পর্দায় এলেন ব্রায়ান ডি পালমার পরিচালনায় আইরিশ পুলিশ হিসেবে। সহ-অভিনেতা হিসেবে তাঁর অভিনয় তাক লাাগিয়ে দিয়েছিল দর্শকদের। ছবির নাম ছিল ‘দ্য আনটাচেবলস’। এসেছিল স্বীকৃতিও। সে বছর অস্কারের মঞ্চে সেরা সহ-অভিনেতার শিরোপা পেয়েছিলেন শন। শুধুমাত্র অস্কার নয়, তাঁর ঝুলিতে রয়েছে ২টি বাফটা, ৩টি গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ডও।
[আরও পড়ুন : একইরকম সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থা, আজও করা হয়নি ডায়ালিসিস]
স্যর শন কনারি অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলির মধ্যে অন্যতম-মারনি, মার্ডার অন দ্য ওরিয়েন্ট এক্সপ্রেস, দ্য নেম অফ দ্য রোজ, হাইল্যান্ডার। একের পর এক চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের মন কেড়েছেন শন। এদিন সেই দর্শকদের কাঁদিয়ে চিরদিনের মতো বিদায় নিলেন তিনি।