সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকাল ট্রেন (Local Train) চালুর দাবিতে অবরোধ-বিক্ষোভ পরই শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার নিরাপত্তায় বিশেষ নজর রেলের। প্রত্যেক স্টেশনে বাড়ানো হল রেলপুলিশের সংখ্যা। শুক্রবার সকাল থেকেই স্টেশনের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে পুলিশি টহলদারি। রেল সূত্রে খবর, শিয়ালদহ উত্তর ও দক্ষিণ ডিভিশনে ৪৩টি বাড়তি স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেন দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যে করোনার গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হয়ে যায়। হু হু করে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। ভাইরাসের মোকাবিলায় গত মাসেই স্তব্ধ হয়ে যায় রেল পরিষেবা। বর্তমানে রাজ্যে বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল হয়েছে। বেসরকারি অফিসে অল্প সংখ্যক কর্মী নিয়ে শুরু হয়েছে কাজ। রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, বেসরকারি সংস্থাই কর্মীদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করবে। আদতে যদিও সব বেসরকারি সংস্থা সেই দায়িত্ব নেয়নি। বাধ্য হয়ে নিজেদেরই অফিসে পৌঁছতে হচ্ছে কর্মীদের। তার ফলে গন্তব্যে পৌঁছতে কার্যত নাকানিচোবানি খেতে হচ্ছে তাঁদের। এই পরিস্থিতিতে লোকাল ট্রেন চালুর দাবিতে সরব বেশিরভাগ ভুক্তভোগী।
[আরও পড়ুন: কসবা কাণ্ডকে হাতিয়ার করে বেনিয়মের অভিযোগ, করোনার টিকার অডিট চেয়ে চিঠি BJP’র]
সেই দাবি ঘিরেই বুধবার সোনারপুর স্টেশনে রেল অবরোধ শুরু হয়। তার ফলে বহু স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেন একাধিক স্টেশনে আটকে পড়ে। বৃহস্পতিবারও দেখা যায় সেই একই ছবি। এদিন সকালেও সোনারপুর স্টেশনে অবরোধ করেন যাত্রীরা। প্রায় ঘণ্টাখানেক চলে অবরোধ। তারপর একে একে মল্লিকপুর, বেতবেড়িয়া, ঘুটিয়ারি শরিফ স্টেশনেও শুরু হয় অবরোধ। মল্লিকপুর স্টেশনে অবরোধ তুলতে যায় রেলপুলিশ। অবরোধ তুলতে গেলে মল্লিকপুরে কার্যত অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়। রেলপুলিশ এবং রাজ্য পুলিশের দু’টি গাড়িতে ভাঙচুর চালায় বিক্ষোভকারীরা। পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথরও ছুঁড়তে থাকে অবরোধকারীরা। বেশ কয়েকজন জখমও হয়েছেন। এই ঘটনার জেরে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার একাধিক স্টেশনে দাঁড়িয়ে যায় বহু স্টাফ স্পেশ্যাল। ভোগান্তির শিকার হন যাত্রীরা। এই পরিস্থিতিতে লোকাল চালুর অনুমতি চেয়ে নবান্নে চিঠি দেওয়ার ভাবনাচিন্তা করে রেল। তবে বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে এখনই রেল চালানো সম্ভব নয় বলে সাফ জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।