কল্যাণ চন্দ, বহরমপুর: অর্থের বিনিময়ে সরকারি হাসপাতালে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তোলপাড় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। এই অভিযোগে বুধবার দুপুরে হাসপাতালের সিকিউরিটি হেডকে আটক করেছে বহরমপুর থানার পুলিশ। তার আগে অভিযুক্ত উদয়নারায়ণ গোস্বামীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে অভিযোগকারীরা।
অভিযোগকারীদের দাবি, ২০২১ সালে অর্থাৎ করোনাকালে মোট ১১৯ জনকে নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। চাকরি দেওয়ার নামে অধিকাংশ যুবক-যুবতীর কাছ থেকে এক-দেড় লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছিল। প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, ৬০ বছর পর্যন্ত অস্থায়ী চাকরি করতে পারবেন তাঁরা। কিন্তু বাস্তবটা একদম অন্য। কেউ কেউ মাত্র ৬-৮ মাস নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজ করেছেন। চাকরি চলে যাওয়ায় বছর দুয়েক ধরে সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা। অভিযোগ, পুরো বিষয়টির সঙ্গে যুক্ত ওই সিকিউরিটি হেড।
[আরও পড়ুন: Kolkata Metro: অফিস টাইমে মেট্রোয় আত্মহত্যা! ব্যহত পরিষেবা, ভোগান্তিতে যাত্রীরা]
বুধবার দুপুরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ওই নিরাপত্তরক্ষীকে তাড়া করে পাকড়াও করেন অভিযোগকারীরা। এর পরই চলে টানা হ্যাঁচড়া। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে ওই সিকিউরিটি হেডকে আটক করে বহরমপুর থানায় নিয়ে যায়। যদিও ওই সিকিউরিটি প্রধান নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বহরমপুর থানার পুলিশ।