সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গেমে প্রেম। আর সেই প্রেমের টানেই চার সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে পাকিস্তান থেকে পালিয়ে ভারতীয় যুবককে বিয়ে করে সাড়া ফেলে দিয়েছেন সীমা হায়দার। তাঁর আসল পরিচয় পেতে রীতিমতো কালঘাম ছুটছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের। আর এরই মধ্যে সামনে এল এমনই আরও একটি ঘটনা। এবার বাংলাদেশি তরুণী প্রেমের টানে ছুটে এলেন উত্তরপ্রদেশে। কিন্তু সে প্রেমকাহিনির পরিণতি যে এমন ভয়ংকর হবে, হয়তো আন্দাজও করতে পারেনি যুবকের পরিবার।
জানা গিয়েছে, বাংলাদেশি মহিলা জুলি বেগমের সঙ্গে বছর দুয়েক আগে উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদের অজয় সিংয়ের পরিচয় হয় ফেসবুকে। ধীরে ধীরে বন্ধুত্ব গভীর হয়। এরপরই তাঁরা বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। বছর খানেক আগেই নাকি নিজের ১১ বছরের মেয়ে হালিমাকে নিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে চলে আসেন জুলি। ভালবাসায় ইসলাম ছেড়ে হিন্দু ধর্মও গ্রহণ করেন জুলি বলে জানা যায়। সব ঠিকঠাকই চলছিল, কিন্তু মাস তিনেক আগে অদ্ভুত মোড় নেয় এই প্রেমকাহিনি।
[আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়া মুখ ফেরাতেই আসরে ভারত, কমনওয়েলথ গেমসের জন্য তৈরি হচ্ছে আহমেদাবাদ!]
নিজের শাশুড়িকে আচমকাই জুলি জানান, ভিসা রিনিউ করতে তাঁকে বাংলাদেশে ফিরতে হবে। সঙ্গে স্বামী অজয়কেও নিয়ে যাবেন। কিন্তু অজয়ের পাসপোর্ট-ভিসা কিছুই ছিল না। তা সত্ত্বেও বেআইনি ভাবে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ পৌঁছে যান তাঁরা। কিন্তু সেখানে যেতেই জুলির অন্য চেহারা সামনে আসে। বাংলাদেশ থেকে নিজের শাশুড়িকে অজয়ের রক্তাক্ত ছবি পাঠাতে শুরু করেন জুলি। ছেলের হাল দেখে শিউরে ওঠেন মা সুনিতা। ভয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি। মোরাদাবাদ পুলিশের কাছে ছেলেকে ফিরিয়ে দেওয়ার আরজি জানান তিনি। অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
অজয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিশ জানতে পেরেছে ঢাকার গাজিপুরে স্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন তিনি। মাস তিনেক পর ভারতে ফিরে আসবেন। কিন্তু কোন পরিস্থিতিতে তিনি এ কথা বলছেন, আদৌ সত্যি বলছেন কি না, তা নিয়ে ধন্দে পুলিশ।