সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভালোবাসার টানে সুদূর পাকিস্তান থেকে পালিয়ে এসেছিলেন সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে। বিয়ে করেছিলেন উত্তরপ্রদেশের শচীন মিনাকে। যদিও সেই বিয়ের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল আদালত। মঙ্গলবার ভোরে কন্যাসন্তানের জন্ম দিলেন সেই সীমা হায়দর। গ্রেটার নয়ডায় শচীন-সীমার বাড়িতে এখন খুশির হাওয়া।

সীমার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর নিয়ে মাঝে গুঞ্জন চলছিল। যদিও গত জানুয়ারি মাসে সেই দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছিলেন সীমা ও শচীন। তেমন কিছু ঘটলে জানাবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন তাঁরা। সীমা এক সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, "আমার চার সন্তান। চার দিকে আমার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর ঘুরছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। এ রকম কোনও খবর নেই।" যদিও মঙ্গলবার ভারত-পাক প্রেমের সন্তান জন্মানোর খবর সংবাদমাধ্যমে দেন আইনজীবী এপি সিং। তিনি জানান, সন্তান এবং মা দু’জনেই সুস্থ আছেন।
পাবজি খেলতে গিয়ে একে-অপরের প্রেমে পড়েন সীমা-শচীন। ২০২৩ সালের জুন মাসে পাকিস্তান থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে এসে শচীনের সঙ্গে বিয়ে করেন সীমা। চার সন্তানকে নিয়ে নেপাল ঘুরে বেআইনিভাবে ভারতে চলে আসেন তিনি। অবৈধভাবে ভারতে আসার অভিযোগে সীমাকে গ্রেপ্তারও করা হয়। পরে জামিন পেয়ে শচীনকে বিয়ে করেন। এখনও তদন্ত চলছে সীমার বিরুদ্ধে। মাঝে সীমার বিরুদ্ধে পারিবারিক আদালতের দ্বারস্থ হন প্রথম স্বামী গুলাম হায়দর। তিনি দাবি করেন, বিচ্ছেদ ছাড়াই দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন সীমা। এর পর পাক বধূকে সমন পাঠায় আদালত।