shono
Advertisement

শচীন-সীমার বিয়ের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন, প্রাক্তন স্বামীর মামলায় অস্বস্তিতে পাক বধূ

নয়ডার আদালতে সীমার বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা 'প্রাক্তন' স্বামীর।
Posted: 10:07 PM Mar 30, 2024Updated: 10:07 PM Mar 30, 2024

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগেই আইনজীবী নোটিস পাঠিয়েছিলেন। এবার বিয়ের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আদালতে গেলেন পাক বধূ সীমার প্রাক্তন স্বামী গুলাম হায়দর। স্বভাবতই অস্বস্তি বাড়ল শচীন-সীমার দাম্পত্য জীবনে।

Advertisement

প্রেমের টানে স্বামীর সংসার ছেড়ে পাকিস্তান থেকে অবৈধ ভাবে ভারতে প্রবেশ করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন সীমা। সীমাকে গত বছর ৪ জুলাই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পরে জামিন পেয়ে শচীনকে বিয়ে করেন তিনি। চার সন্তানকে নিয়ে নতুন শ্বশুরবাড়িতে সংসার শুরু করেন। চলতি সপ্তাহেই পাকিস্তান থেকে ভারতের এক আইনজীবীর মাধ্যমে নয়ডার আদালতে প্রতারণার অভিযোগ তুলে মামলা করেন সীমার ‘প্রাক্তন’ স্বামী গুলাম।

 

[আরও পড়ুন: বাংলায় এসেই শক্তিপীঠে রণিত রায়, কোথায় পুজো দিলেন?]

গুলামের আইনজীবীর মোমিনের অভিযোগ করেছেন, বিবাহবিচ্ছেদ না নিয়েই ভারতে এসেছিলেন সীমা। তার পর শচীনকে বিয়ে করেন। বিবাহবিচ্ছেদ না নিয়ে কীভাবে বিয়ে হতে পারে? অতএব এই বিয়ে অবৈধ। জামিনের আবেদনে কেন স্বামীর পরিচয়ের জায়গায় সচিনের নাম ব্যবহার না করে গুলামের নাম ব্যবহার করলেন সীমা? সেই প্রশ্নও তোলা হয়েছে আদালতে।

উল্লেখ্য, আগেই গুলাম হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, মীনা দম্পতি ভারতীয় মুদ্রায় তিন কোটি টাকা খেসারত না দিলে কঠিন আইনি ব্যবস্থা নেবেন। এই মর্মে নোটিস পাঠান আইনজীবী আলি মোমিনের মাধ্যমে। যেখানে আর্থিক জরিমানা ছাড়াও গোটা ঘটনার জন্য এক মাসের মধ্যে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছিল সীমা ও শচীনকে। উল্লেখ্য, পাকিস্তান থেকে চার সন্তানকে নিয়ে ভারতে এসেছিলেন সীমা। সন্তানদের কাছে পেতে মানবাধিকার কর্মী আনসার বরনির দ্বারস্থ হয়েছিলেন গুলাম। আনসারই এই মামলায় আইনজীবী মোমিনকে নিযুক্ত করেন। এর পর ওই আইনজীবী নোটিস পাঠান মীনা দম্পতিকে।

 

[আরও পড়ুন: লোকসভা ভোটে অভিষেকের বিরুদ্ধে পদ্মপ্রার্থী রুদ্রনীল? জল্পনা তুঙ্গে]

প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের বাসিন্দা ছিলেন ৩০ বছরের সীমা হায়দর। ২০২৩ সালের ১৫ এপ্রিল নেপাল বর্ডার হয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। তার আগে নেপালের পশুপতিনাথ মন্দিরে সাত পাকে বাঁধা পড়েন শচীনের সঙ্গে। অবৈধ অনুপ্রবেশের জন্য ৪ জুলাই গ্রেপ্তার হন সীমা। তাঁর বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তিরও অভিযোগ উঠেছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত জেল থেকে ছাড়া পান সীমা। মাঝে জানা গিয়েছিল, শচীনের সন্তানের মা হতে চলেছেন। এর মধ্যেই খারাপ খবর- প্রাক্তন স্বামীর আইনি নোটিস পেলেন ইন্দো-পাক দম্পতি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement