সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উৎসবের মরশুম মানে তো শুধুই আনন্দে গা ভাসানো নয়। কত শত মানুষের রুটিরুজি জড়িয়ে থাকে এই সময়ে। কিছু কিছু পেশাই তো আছে, যেখানে শুধুমাত্র পুজোর সময়েই আয়ের রাস্তা প্রশস্ত হয়। তবে এবারের দুর্গাপুজোর (Durga Puja) সময় ঘরে ঘরে বাড়তি আয়ের পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, ”চা, ঝালমুড়ি, ঘুগনি নিয়ে বেরিয়ে পড়ুন, বিক্রি তো হবেই, চাহিদাও খুব বাড়বে।” পুজোর ক’টা দিন এভাবে বিক্রিবাটা করার জন্য মনে কোনও গ্লানি না রাখার কথাও বলেন তিনি। জনতার প্রশ্নের মুখোমুখি হলে, বিব্রত না হয়ে যথাযথ উত্তর দেওয়ার পরামর্শ তাঁর।
রাজ্যবাসীকে স্বনির্ভর করতে বরাবরই নানা উদ্যোগ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্পের (MSME) উন্নয়নেও একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছেন। সম্প্রতি ক্ষুদ্র-কুটিরশিল্প দপ্তরের উদ্যোগে শহরের জলাশয়ের কচুরিপানা দিয়ে পরিবেশবান্ধব সামগ্রী তৈরি করার কথা বলা হয়েছে। কলকাতা পুরসভার তরফে মাঝারি, হালকা ও ক্ষুদ্র শিল্প দপ্তরকে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যে জেলায় জেলায় কচুরিপানা দিয়ে ঝুড়ি-সহ একাধিক সামগ্রী তৈরি হচ্ছে কারখানাগুলিতে।
[আরও পড়ুন: আরও রসেবশে শারদোৎসব, পশ্চিমবঙ্গে ৫০০ টন ইলিশ পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ]
বৃহস্পতিবার খড়গপুরের চাকরির নিয়োগপত্র বণ্টন অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী এবার আরও নানা পরামর্শ দিলেন। জনতার উদ্দেশে বললেন, ”চা ভরতি কেটলি নিন, সঙ্গে কয়েকটা কাপ নেবেন। এসব নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ুন। দেখবেন হু হু করে চা বিক্রি হয়ে যাবে। পরেরদিন মাকে বলুন, একটু ঘুগনি বানিয়ে দিতে। সেটাও নিয়ে যান। সব বিক্রি হয়ে যাবে। একটা কৌটোয় ঝালমুড়ি ভরে নিন, অল্প বাদাম-ছোলা ফেলে দিন। দেখবেন একের পর একজন খেতে চাইবে। বিক্রি করে শেষ করতে পারবেন না। একটা শালপাতা নিয়ে মাঝখানে ফুটো করে কাঠি ঢুকিয়ে দিন, ঠোঙা হয়ে যাবে। তাতেই ঘুগনি, ঝালমুড়ি বিক্রি করবেন।”
[আরও পড়ুন: ‘ডোন্ট টাচ মাই বডি’ পোস্টার নিয়ে হাজির তৃণমূল, পালটা বিক্ষোভ বিজেপির, ধুন্ধুমার বিধানসভা]
এই কাজের সঙ্গে কারও কোনওরকম গ্লানি বা লজ্জা থাকুক, তা চান না মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, ”লোকে যদি বলে, এসব করছো? বলবেন, হ্যাঁ এসব করেই আমরা কোটিপতি হব। বলবেন, আমরা বিত্তবান হতে চাই না, বিবেকবান হতে চাই।”