সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যুগ বদলের পৃথিবীতে অর্ধেক আকাশের নাম নারী। ফলিত বিজ্ঞান থেকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, ব্যবসা হোক বা সাহিত্য, সবখানে তাঁর মূল্যবান অবদান। সেকথাই মনে করিয়ে দিল আশুতোষ কলেজ ও দেশবন্ধু কলেজ ফর গার্লসের যৌথ আলোচনা সভা এবং কর্মশালা। যেখানে আলোচনার বিষয় ছিল “নারী-কথায় সাহিত্য ও সমাজ’।
২৭ মার্চ ছিল রাজ্য স্তরের এই আলোচনাসভা এবং কর্মশালা। অনুষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক আশুতোষ কলেজের অধ্যক্ষ ড. মানস কবি এবং দেশবন্ধু কলেজ ফর গার্লসের অধ্যক্ষ ড. অনিতা চট্টোপাধ্যায় গুপ্ত। শুরুতেই অতিথিদের স্বাগত জানান আশুতোষ কলেজের আইকিউএসি সঞ্চালক ড. শ্রাবণী রায়। প্রারম্ভিক ভাষণ দেন দেশবন্ধু কলেজ ফর গার্লসের অধ্যক্ষ।
[আরও পড়ুন: দিলীপের পর হিরণ! পুলিশকে ‘হুমকি’ দেওয়ায় বিজেপি প্রার্থীকে কমিশনের ‘শোকজ’]
কর্মশালার সাংগঠনিক সম্পাদক ড. চন্দ্রমল্লী সেনগুপ্ত নিজের বক্তব্যে নারীদের সামাজিক নির্মাণের বিষয়টিতে আলোকপাত করেন। বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী মধুবনী চট্টোপাধ্যায় তাঁর গ্রন্থ ‘বিদ্রোহিনীর মহাভারত’ নিয়ে আলোচনায় মহাভারতের নারীদের জীবনের কাহিনির উল্লেখ করেন। তাঁদের বঞ্চনা ও প্রতিবাদী চেতনার দিকে আলোকপাত করেন, যার মধ্যে ছিলেন শকুন্তলা, কুন্তী, সত্যবতী, সুভদ্রা এবং হিড়িম্বা, যাঁদের অনার্য হওয়ার বেদনার কথা উল্লেখিত হয়েছে আলোচনায়।
[আরও পড়ুন: মিরজাফরের পাশে ছিলেন রাজা কৃষ্ণচন্দ্র! পূর্বপুরুষের ‘গদ্দারি’ নিয়ে বিপাকে পদ্মপ্রার্থী রাজমাতা]
নিজের বক্তৃতায় তিনি মহাভারতে নারীর ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করার সময় দ্রৌপদী চরিত্রের কথা বলেন। কর্মক্ষেত্রে নারীদের যৌননিগ্রহ রুখতে আইনের বিষয়েও জানান। দ্বিতীয় পর্বের সূত্রপাত হয় আশুতোষ কলেজের অধ্যক্ষ মানস কবির ভাষণে। দিন শেষের অনুষ্ঠানটি ছিল নটী বিনোদিনীর আত্মজীবনী অবলম্বনে ‘আমার কথা’র নাট্যরূপ। সুরঞ্জনা দাশগুপ্তের এই পরিবেশন মন ছুঁয়ে যায় সকলের।