সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বয়স চল্লিশ পেরিয়ে গিয়েছে সেরেনা উইলিয়ামসের (Serena Williams)। একসময়ের অবিসংবাদী বিশ্বসেরার র্যাঙ্কিংও নেমে গিয়েছে অনেকটাই। বিশ্বের সেরা হাজার টেনিস খেলোয়াড়ের মধ্যেও নেই তাঁর নাম। প্রতিযোগিতামূলক টেনিস থেকে দূরে রয়েছেন প্রায় এক বছর। তবুও আশা ছাড়েননি তিনি। টেনিস খেলোয়াড় হিসাবে সর্বোচ্চ ২৪ নম্বর গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতার লক্ষ্যে ফের র্যাকেট হাতে নামছেন তিনি। মঙ্গলবার বিকেলে উইম্বলডনে (Wimbledon) অভিযান শুরু করতে চলেছেন সাতবারের চ্যাম্পিয়ন।
ওয়াইল্ড কার্ড নিয়ে ঘাসের কোর্টে খেলতে নামছেন সেরেনা। তবে সেন্টার কোর্টে খেলতে নামার আগে অনেক প্রশ্নের মুখোমুখি ২৩টি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালকিন। বিশেষজ্ঞদের মতে, হয়তো আর সেরার আসনে বসতে পারবেন না তিনি। গত উইম্বলডনে প্রথম রাউন্ডেই চোটের কারণে নাম তুলে নিতে বাধ্য হয়েছিলেন সেরেনা। শেষবার উইম্বলডন ট্রফি জিতেছিলেন ২০১৬ সালে। তবে ২০১৮ এবং ২০১৯ সালে ফাইনালে উঠেও হার মানতে হয় তাঁকে। ২০২০ সালে কোভিডের কারণে বাতিল হয়ে যায় ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিযোগিতা।
[আরও পড়ুন: সিরিজের শেষ ম্যাচে আজ আইরিশদের মুখোমুখি ভারত, উমরানকে নিয়ে ধৈর্য ধরতে বলছেন হার্দিক]
২০২১ সালে ফের ঘাসের কোর্টে ফেরেন টেনিসের রানি সেরেনা। কিন্তু চোখের জলে লন্ডন থেকে বিদায় নেন তিনি। চোটের কারণে নামতে পারেননি গত বছরের ইউ এস ওপেনে। চলতি বছরের অস্ট্রেলিয়ান ওপেন বা ফ্রেঞ্চ ওপেনেও নামতে পারেননি তিনি। অবাছাই হিসাবেই চলতি বছরে প্রথমবার গ্র্যান্ড স্ল্যামে নামছেন সেরেনা। প্রিয় টুর্নামেন্ট উইম্বলডনে নেমেই মার্গারেট কোর্টের রেকর্ড স্পর্শ করতে চান তিনি। সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে দৌড় শুরু করবেন মঙ্গলবার দুপুরে। প্রতিপক্ষ ফ্রান্সের হারমোনি টান।
র্যাংকিংয়ে এতটা নীচে আর কি কখনও নেমেছেন সেরেনা? স্মরণকালের মধ্যে এত কম র্যাঙ্কিংয়ে সেরেনাকে দেখা যায়নি। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট সারানোর জন্য এক বছর নিজেকে কোর্ট থেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। প্রতিযোগিতামূলক টেনিসে নামেননি এক বছর। ফলে সদ্য প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ে সেরেনার এই পতন। বলা ভাল, উইম্বলডনে কামব্যাক করছেন টেনিসের রানি।
আর সেরেনার কামব্যাক উসকে দিয়েছে এক পুরনো তর্ক। আদৌ কি প্রতিভার যথার্থ মূল্যায়ন করে র্যাঙ্কিং সিস্টেম? অতীতেও দেখা গিয়েছে, বিশ্বর্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে থাকা খেলোয়াড় মুখ থুবড়ে পড়েছেন গ্র্যান্ড স্ল্যামের বড় মঞ্চে। সেরেনা যদি উইম্বলডন জিততে পারেন, আবারও সঠিক প্রমাণ হয়ে যাবে নেভিল কার্ডাসের সেই অমর উক্তি, ‘স্কোরবোর্ড আসলে একটা গাধা’। আসলে র্যাঙ্কিং সিস্টেমকেই পক্ষান্তরে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখাবেন সেরেনা।