সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের বাজারে কোভিশিল্ডের (Covishield) উৎপাদন এবং সরবরাহ দুবছর আগে থেকেই বন্ধ। বিতর্কের মধ্যেই সাফাই দিল ভারতে টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থা সিরাম ইনস্টিটিউট। সিরামের দাবি, ২০২১ সালের ডিসেম্বরের পর থেকে আর অতিরিক্ত টিকার ডোজ সরবরাহ করছে না তারা।
ভয়ংকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা স্বীকার করে নেওয়ার পর অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিয়ে বিশ্বজুড়ে তৈরি হয়েছিল আতঙ্কের পরিবেশ। এর মাঝেই সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফের তরফে দাবি করা হয়েছে, গোটা বিশ্বের বাজার থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকা (Astrazeneca) তৈরি ‘ভ্যাক্সজেভরিয়া’, কোভিশিল্ড-সহ অন্যান্য আরও যা করোনা টিকা রয়েছে, তা তুলে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ছাপ্পা কমেই রাজ্যে কমছে ভোটের হার! দায়ী পঞ্চায়েতের হিংসাও, মত কমিশনের]
যদিও সম্প্রতি করোনা টিকায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা স্বীকার করলেও বাজার থেকে টিকা তুলে নেওয়ার পিছনে অন্য কারণ দেখানো হয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকার তরফে। সংস্থার দাবি, বিশ্ব বাজারে বর্তমানে এর চাহিদা কমে যাওয়ায় সম্পূর্ণ বাণিজ্যিক কারণে বাজার থেকে তুলে নেওয়া হচ্ছে এই টিকা। এর সঙ্গে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কোনও সম্পর্ক নেই।
[আরও পড়ুন: ছাপ্পা কমেই রাজ্যে কমছে ভোটের হার! দায়ী পঞ্চায়েতের হিংসাও, মত কমিশনের]
এই বিতর্কের মধ্যে ভারতেও কোভিশিল্ড নিয়ে প্রশ্ন ওঠা শুরু করেছে। সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) একাধিক জনস্বার্থ মামলাও দায়ের হয়েছে। যা নিয়ে এবার বিবৃতি দিতে হল সিরাম ইনস্টিটিউটকে (Serum Institute)। সংস্থার তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হল, ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসের পর থেকে টিকা উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাদের বক্তব্য, এই টিকার বর্তমানে আর কোও চাহিদা নেই দেশে। তাছাড়া ওই সংস্থার দাবি, " আমরা শুরু থেকেই প্যাকেজিং এর ভিতরে বিরল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যেমন থ্রম্বোসিস, থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিন্ড্রোমের কথা জানিয়েছি। আমরা সবসময় স্বচ্ছ্বতা বজায় রেখেছি।"