সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভ্যাকসিন ট্রায়ালে অংশগ্রহণকারী স্বেচ্ছাসেবকের অসুস্থতার সঙ্গে টিকার কোনও সম্পর্ক নেই। বিবৃতি জারি করে জানিয়ে দিল সেরাম ইন্সটিটিউট (Serum Institute of India)। বরং ওই স্বেচ্ছাসেবক নিজের অসুস্থতার কথা গোপন করেছিলেন। এখন সংস্থার সুনাম নষ্ট করতে এই অভিযোগ আনছে বলে পালটা সরব হয়েছে সেরাম কর্তৃপক্ষ। এমনকী, অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলাও করছেন তাঁরা।
অক্সফোর্ড–অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ‘কোভিশিল্ড’-এর তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে দেশে। তার দায়িত্বে রয়েছে সেরাম। তাই সংস্থার কাছে ৫ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন ওই ব্যক্তি। এরপরই পালটা ১০০ কোটি টাকার মামলা করছে সেরাম। অভিযোগ সম্পর্কে কী জানিয়েছে সংস্থা?
[আরও পড়ুন : করোনা নিয়ে এখনও জারি উদ্বেগ, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে চলতি সপ্তাহেই সর্বদল বৈঠকের ডাক]
বিবৃতি দিয়ে তাঁরা জানিয়েছে, “সম্পূর্ণ অসাধু উদ্দেশ্যে এই অভিযোগ করা হচ্ছে। সেরাম ইন্সটিটিউট অব ইন্ডিয়া স্বেচ্ছাসেবীর শারীরিক অসুস্থতা সম্পর্কে সমবেদনা জানাচ্ছে। কিন্তু এর সঙ্গে ভ্যাকসিনের (Vaccine) কোনও যোগ নেই। তিনি নিজের শারীরিক অবস্থার দায় ভ্যাকসিনের উপর চাপিয়ে দিতে চাইছেন। যা সম্পূর্ণ অনৈতিক।” সংস্থার তরফে আরও বলা হয়েছে, “ওই স্বেচ্ছাসেবীর অভিযোগ সম্পূর্ণ অসাধু কারণ, মেডিক্যাল টিম স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছিল তাঁর শারীরিক অসুবিধার সঙ্গে ভ্যাকসিন ট্রায়ালের কোনও যোগ নেই। তারপরেও তিনি প্রকাশ্যে অভিযোগ করে সংস্থার সুনাম নষ্টের চেষ্টা করেছেন।” সেরাম ইনস্টিটিউটের তরফে দাবি করে হয়েছে, কোম্পানির লোকসান করার ক্ষতিপূরণ হিসেবে তারা ওই ব্যক্তির থেকে ১০০ কোটি টাকা দাবি করছে।
প্রসঙ্গত, গত ১ অক্টোবর ওই ব্যক্তিকে পরীক্ষামূলকভাবে ভ্যাকসিনটি দেওয়া হয়। এরপর প্রথম দশদিন কোনও কিছুই হয়নি। কিন্তু ১১ অক্টোবর থেকে আচমকাই শরীর খারাপ হতে শুরু করে দেয় তাঁর। প্রথমে মাথা যন্ত্রণা, বমি হতে থাকে। এরপরই আচমকা স্নায়ুর সমস্যাও দেখা দেয়। হাত–পা কাঁপতে শুরু করে। সব কিছু ভুলে যেতে থাকেন। কাছের কাউকেই চিনতে পারছিলেন না। শেষপর্যন্ত তাঁকে আইসিইউ’তে ভরতি করতে হয়। এরপর ২৬ তারিখ তাঁকে বাড়ি নিয়ে আসেন পরিবারের লোকজন। এরপরই সেরাম ইনস্টিটিউটকে চিঠি দিয়ে পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়। এবার পালটা মামলা করতে চলেছে সেরাম।