সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নতুন বছরের প্রথম দিনেই অক্সফোর্ড (Oxford) ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার (Astrazeneca) তৈরি করোনা ভ্যাকসিন কোভিশিল্ডকে (Covishield) ভারত সরকারের তরফে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আর আগামিদিনে সরকারের অনুমতি পেলে ভারতের বাজারে এই কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের প্রতি ডোজ হাজার টাকায় বিক্রি করার প্রতিশ্রুতি দিলেন সেরাম ইনস্টিটিউটের (Serum Institute) কর্ণধার আদর পুনাওয়ালা (Adar Poonawala)।
সেরাম কর্ণধার জানিয়েছেন যে ২০০ টাকা প্রতি ডোজ হিসেবে ভারত সরকারকে প্রথম ভ্যাকসিনের ১০০ মিলিয়ন ডোজ সরবরাহ করবে সংস্থা। এই ডোজ সরকারের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে সাধারণ মানুষকে দেওয়া হবে আগামী দিনে। ইতিমধ্যে ৫০ মিলিয়ন ডোজও তাঁরা তৈরি করে ফেলেছেন বলেও দাবি করেন তিনি।
[আরও পড়ুন: দিল্লিতে আন্দোলনরত কৃষকরা ‘সত্যাগ্রহী’! বিজেপিকে ব্রিটিশদের সঙ্গে তুলনা করলেন রাহুল]
এই ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজটি নেওয়ার পর একটি বুস্টার ডোজের প্রয়োজন হয়। তাই হাজার টাকা করে মোট দু’হাজার টাকা খরচ করে সাধারণ মানুষ বাজার থেকে এই ডোজ কিনতে পারবেন বলেও তিনি জানিয়েছেন। ইতিমধ্যে ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলারের কাছ থেকে অনুমোদন পেয়েছে সেরামের তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন ‘কোভিশিল্ড’। আগামী দিনে কোভিড মোকাবিলায় তা বেশ কার্যকারী ভূমিকা পালন করতে চলেছে তা বলাই বাহুল্য।
[আরও পড়ুন: নতুন বছরের সমাধানের আশা, কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে আজ ফের কেন্দ্র-কৃষক বৈঠক]
আগামী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে সমস্ত নিয়ম মেনে এই ভ্যাকসিন সরবরাহের কাজ শুরু করা হবে ও আগামী এক মাসের মধ্যে ৭০-৮০ মিলিয়ন ডোজ সরবরাহের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে সেরাম এগোচ্ছে বলে জানান আদর পুনাওয়ালা। আগামী মার্চ মাসের মধ্যে ভ্যাকসিনের দ্বিগুণ ডোজ তৈরি করা হবে বলেও দাবি তাঁর। তবে বাজার থেকে সেরামের ভ্যাকসিন কবে কিনতে পারবেন সাধারণ মানুষ? এই প্রশ্নের জবাবেই সেরামের কর্ণধারের বক্তব্য, বিষয়টি নিয়ে সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য অপেক্ষা করছেন তাঁরা। এই ভ্যাকসিন আপাতত দেশের বাইরে রপ্তানি করার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে সরকারের। এছাড়াও বাজারে বিক্রি করার ক্ষেত্রেও রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। সেরামের সিইও’র মতে, সরকারের তরফ থেকে সবুজ সংকেত পাওয়া মাত্রই বাজারে সরবরাহের ব্যবস্থা করবে সংস্থা।