সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আরএসএসের (RSS) গড় নাগপুরের পর প্রধানমন্ত্রীর খাসতালুক বারাণসীতেও হার। উত্তরপ্রদেশের বিধান পরিষদের নির্বাচনে সামগ্রিকভাবে ফলাফল খারাপ না করলেও মোদির নিজের লোকসভা কেন্দ্রে হার বেশ অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে বিজেপিকে।
গত মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশের ১১টি বিধান পরিষদ আসনের জন্য নির্বাচন হয়েছিল। এই আসনগুলি শিক্ষক এবং স্নাতকদের জন্য সংরক্ষিত। ৬টি আসন ছিল শিক্ষকদের জন্য সংরক্ষিত এবং ৫টি আসন ছিল স্নাতকদের জন্য সংরক্ষিত। এর মধ্যে বারাণসী ডিভিশনের শিক্ষক এবং স্নাতক দুটি আসনেই জয় পেয়েছে সমাজবাদী পার্টি (Samajwadi Party)। বারাণসীর শিক্ষক আসনটিতে গেরুয়া শিবির তৃতীয় স্থান পেয়েছে। যা রীতিমতো চমকপ্রদ। কারণ, এই কেন্দ্র থেকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) পরপর দু’বার নির্বাচিত হয়েছেন। দু’দিন আগেই মহারাষ্ট্রের বিধান পরিষদের নির্বাচনে ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। ৬টির মধ্যে মাত্র ১টি আসন দখল করেছে তারা। হারতে হয়েছে সংঘের গড় নাগপুরেও। তারপরই বারাণসীতে এই হার চাপে ফেলে দিয়েছে গেরুয়া শিবিরকে।
[আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রের বিধান পরিষদের নির্বাচনে ভরাডুবি বিজেপির, বড় জয় শাসক জোটের]
যদিও উত্তরপ্রদেশে সার্বিকভাবে খুব খারাপ ফল বিজেপি (BJP) করেনি। মোট ১১টি আসনের মধ্যে ৪টিতে তারা ইতিমধ্যেই জয় পেয়েছে। আরও দুটি আসনে এগিয়ে আছে। গতবার এই ১১টির মধ্যে মাত্র ২টি আসন ছিল গেরুয়া শিবিরের দখলে। অন্যদিকে, সমাজবাদী পার্টিও বেশ ভালই ফল করেছে। ১১টির মধ্যে মোট ৩ আসনে জয়ী তারা। একাধিক আসনে পেয়েছে দ্বিতীয় স্থান। আর ৩টি আসন গিয়েছে নির্দলদের দখলে।
[আরও পড়ুন: একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নয়, হায়দরাবাদ পুরনিগম দখলে ওয়েইসির সঙ্গই ভরসা TRS’এর]
প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশ-সহ দেশের মোট ছ’টি রাজ্যের আইনসভায় দুটি কক্ষ। বিধানসভা নিম্নকক্ষ এবং বিধান পরিষদ উচ্চকক্ষ। ১০০ আসনের উত্তরপ্রদেশ বিধান পরিষদে শিক্ষক এবং স্নাতকদের জন্য সংরক্ষিত ১৬টি আসন। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের শিক্ষক এবং স্নাতকরা নিজেদের প্রতিনিধিদের এই ভোটের মাধ্যমেই আইনসভার উচ্চকক্ষে নির্বাচিত করেন। ভোটগ্রহণ হয় ব্যালট পেপারে। সাধারণ মানুষ ভোট দিতে না পারলেও শিক্ষক এবং স্নাতকের সংখ্যা যেহেতু নেহাত কম নয়, তাই অনেকেই এই নির্বাচনকে জনমতের প্রতিফল হিসেবে দেখেন। সেদিক থেকে দেখতে গেলে এই ফলাফল বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।