সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাত্র পাঁচ মাসেই বদলে গেল যাবতীয় সমীকরণ। গুলাম নবি আজাদের সঙ্গে হাত মেলানো জম্মু ও কাশ্মীরের অনুগামীরা আবারও দল বেঁধে ফিরে গেলেন কংগ্রেসে। ফলে জোর ধাক্কা খেল আজাদের দল ডেমোক্র্যাটিক আজাদ পার্টি।
গত আগস্টে কংগ্রেস (Congress) নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক চিঠি লিখে দল ছাড়েন আজাদ। তারপর কাশ্মীরে নিজের আলাদা রাজনৈতিক দল গড়েন তিনি। নাম দিয়েছিলেন ডেমোক্র্যাটিক আজাদ পার্টি (DAP)। জম্মু এবং কাশ্মীরের বেশ কিছু কংগ্রেস নেতা যোগ দিয়েছিলেন আজাদের সঙ্গে। নিজে কাশ্মীর ঘুরে ঘুরে জনসমর্থন জোগাড় করার চেষ্টাও করেছিলেন। কিন্তু তাতে বিশেষ সাফল্য আসেনি। কার্যত নিঃসঙ্গই হয়ে পড়ছিলেন আজাদ (Ghulam Nabi Azad)। কারণ দলের অন্দরে তাঁর বিরুদ্ধে বাড়তে শুরু করে বিদ্রোহীর সংখ্যা। একে একে দল ছাড়তে শুরু করেছিলেন অনুগামীরা। এবার দল ছাড়লেন আরও ১৭ জন। মোহভঙ্গ হওয়ায় ছেড়ে যাওয়া কংগ্রেসেই ফিরলেন নেতা-মন্ত্রীরা।
[আরও পড়ুন: কলকাতার নামী হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে রোগীর শ্লীলতাহানি! তদন্তে পুলিশ]
চলতি মাসেই কংগ্রেসের ‘ভারত জোড় যাত্রা’ পৌঁছবে জম্মু ও কাশ্মীরে। তার আগেই হাত শিবিরে ফিরেছেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তারা চাঁদ, পিরজাদা মহম্মদ সঈদ, মুজফ্ফর পেরারে, বলবান সিংহের মতো প্রভাবশালী প্রাক্তন মন্ত্রীরা। এআইসিসির পর্যবেক্ষক জয়রাম রমেশ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘জম্মু ও কাশ্মীরে কংগ্রেসের কাছে আজ এক ঐতিহাসিক দিন।’’ উল্লেখ্য, এদিন যাঁরা কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে কয়েকজনকে আগেই বহিষ্কার করেছিল আজাদের দল।
বিদ্রোহীরা জানিয়েছিলেন, আজাদ যখন কংগ্রেস ছেড়েছিলেন, তখন সহমর্মিতা থেকে তাঁরা পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু তিনি যেভাবে দলের অন্দরে একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছেন, তা মেনে নিতে পারছেন না অনেকেই। সম্প্রতি আবার শোনা যাচ্ছিল, আজাদের কংগ্রেসে ফেরার সম্ভাবনা প্রবল হচ্ছে। সেই জল্পনার মধ্যেই আরও দুর্বল হল ডেমোক্র্যাটিক আজাদ পার্টি। সব মিলিয়ে জম্মু ও কাশ্মীরে নয়া রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরি হচ্ছে।