ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: পুজোর আগে শাড়ি নিয়ে বিধানসভায় তুমুল হইচই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপহার দেওয়া শাড়ি হাত বাড়িয়ে তুলে নেন বিজেপির ৭ বিধায়ক। কিন্তু উনি যে শাসক শিবিরের নেত্রী, যাঁর সঙ্গে সারাবছর রাজনৈতিক তরজা লেগে থাকে, তাঁর দেওয়া উপহার হিসাবে গ্রহণ করা কি উচিত? সূত্রের খবর, শুভেন্দু অধিকারীর নির্দেশে ‘হাত বাড়িয়ে’ নেওয়া শাড়িই শেষমেশ ফেরত দিতে বাধ্য হলেন বিধায়করা। তবে উপহার ফেরতের যুক্তি হিসাবে কামদুনি গণধর্ষণ ও খুন কাণ্ডের দোষীদের ফাঁসি রদের নির্দেশের কথাই বলেছেন তাঁরা।
প্রতি বছরের মতো এবারও বিধানসভার প্রত্যেক সদস্যের জন্য উপহার পাঠান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির সাত মহিলা বিধায়কও মমতার পাঠানো শাড়ি নেন। তা জানতে বিশেষ দেরি হয়নি বিরোধী দলনেতা তথা বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর। সূত্রের খবর, কেন বিজেপি বিধায়করা শাড়ি নিলেন, তা নিয়ে নাকি হইচই ফেলে দেন তিনি। শেষমেশ শাড়ি ফেরত দিতে বাধ্য করান। দলীয় নেতার নির্দেশ অমান্য করেননি গেরুয়া শিবিরের বিধায়করা। শাড়ি ফের বিধানসভায় ফেরত দিয়ে দেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: কামদুনি গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ২ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড, বেকসুর খালাস ৪]
তবে শুভেন্দুর আপত্তির কথা প্রকাশ্যে স্বীকার করেননি শাড়ি ফেরত দেওয়া সাত বিধায়কের কেউই। আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পলের দাবি, কামদুনি কাণ্ডে কলকাতা হাই কোর্ট দোষীদের ফাঁসি রদের নির্দেশ দিয়েছে। দুজনের যাবজ্জীবন এবং বাকি চারজনের বেকসুর খালাসের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। এই রায়ের পর আর পুজোর উপহার নেওয়া সম্ভব নয় বলেই দাবি তাঁর। যদিও সূত্রের খবর, শাড়ি উপহার হিসাবে নেওয়া এবং ফেরত দেওয়ার মতো ঘটনাক্রম হাই কোর্টের রায় ঘোষণার আগের।