সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উৎসবের আনন্দে মাতোয়ারা বাংলাদেশ (Bangladesh)। দেবীর আরাধনায় মেতে উঠেছে দেশ। এহেন খুশির সময়ে বুধবার অর্থাৎ অষ্টমীর রাতে একাধিক পুজোমণ্ডপে হানা দেয় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় দ্রুত তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশাসন। এই হিংসাত্মক ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কুণাল ঘোষ। এদিকে, মণ্ডপে হামলার ঘটনার দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
[আরও পড়ুন: আমেরিকার আদালতে দোষী সাব্যস্ত তালিবানে যোগ দেওয়া বাংলাদেশি জঙ্গি]
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মণ্ডপে হামলার অধিকাংশ ঘটেছে কুমিল্লা জেলায়। ‘bdnews24.com’ সূত্রে খবর, সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি উসকানিমুলক পোস্টকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনাগুলি ঘটছে। চাঁদপুরের হাজিগঞ্জ, চট্টগ্রামের বাঁশখালি, চাপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ ও কক্সবাজারের পেকুয়ায় একাধিক মন্দিরে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। চাঁদপুরের এক হাসপাতাল জানিয়েছে, তাদের কাছে তিনটি দেহ এসেছে। এই ঘটনায় দ্রুত তদন্ত ও কড়া পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশাসন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, হামলার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত শাস্তি দেওয়া হবে।
এদিকে, বাংলাদেশে হিংসার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “বাংলাদেশে দুর্গাপুজোর উপর আঘাত ও অশান্তির গুরুতর অভিযোগ আসছে। এটা উদ্বেগের। অভিযোগের তদন্ত হোক। ঘটনাক্রম সত্যি হলে বাংলাদেশ সরকার ব্যবস্থা নিক। ভারত সরকার অবিলম্বে কথা বলুন। আমরা ভারতে যেমন সংখ্যালঘু সুরক্ষার পক্ষে, তেমনই বাংলাদেশেও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও অধিকার সুনিশ্চিত চাই।”
উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগেই বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁওয়ে একটি কালী মন্দিরে হামলা চালিয়ে প্রতিমা ভেঙে দেয় দুষ্কৃতীরা। এর আগে কুষ্টিয়াতে বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমান ও বিপ্লবী বাঘাযতীনের প্রতিকৃতিতে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। ওই ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করে স্থানীয় প্রশাসন।