সুপর্ণা মজুমদার: সব চরিত্র কি কাল্পনিক হয়? লেখকের সৃষ্টিতেও তো বাস্তবের ছোঁয়া থাকে। তাতেই সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে কাহিনি। যে কাহিনিতে বিশ্বাস-অবিশ্বাস, যন্ত্রণা-ষড়যন্ত্র, সমস্ত আবেগ প্রতিফলিত হয়। সেই প্রতিফলন দেখা গেল শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় (Saswata Chatterjee), সোনালি চৌধুরী (Sonali Choudhury), ঐশ্বর্য (Ayeswarya) অভিনীত শর্ট ফিল্ম ‘কফিন’-এ।
২০ মিনিট সময়ের মধ্যে কাহিনি বাঁধতে গেলে শর্টের সঠিক বিন্যাস আবশ্যক। সেই কাজটি ভালভাবেই করেছেন তরুণ পরিচালক তাপসী রায় (Taposhi Roy)। বুদ্ধি করে কালার টোন নিয়ে খেলেছেন তিনি। তাতেই শুরু থেকে রহস্যের পরত তৈরি হয়েছে। কাহিনির তিন মুখ্য চরিত্র প্রসিদ্ধ লেখক অ্যান্টনি, তাঁর শযাশায়ী স্ত্রী এমিলি এবং এমিলির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা গভার্নেস। লেখার কাজ ও স্ত্রীর দেখাশোনার দায়িত্ব সামলাতে না পেরেই গভার্নেসকে রেখেছিল অ্যান্টনি। কিন্তু তাতে তাঁর অশান্তি আরও বাড়ে। অ্যান্টনি ও গভার্নেসকে সন্দেহ করে এমিলি। এপর্যন্ত গড়পরতা কাহিনি। তারপর থেকেই ভিন্ন মোড় নেয়। রহস্যের কুয়াশা গাঢ় হতে শুরু করে। সেই রহস্য ভেদ করার জন্য ফেলুদা কিংবা ব্যোমকেশ হওয়ার প্রয়োজন নেই। Filmeraa App-এ ডাউনলোড করলেই দেখে ফেলতে পারবেন ‘কফিন’ ।
[আরও পড়ুন: মনের চাইতে চোখের কাজই বেশি ‘SOS কলকাতা’য়, পড়ে নিন রিভিউ]
শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের অভিনয় নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। এমিলির অসহায়তা যথাযথভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন সোনালি। শুধুমাত্র টেলিভিশন নয় বিনোদনের সমস্ত ক্ষেত্রে তাঁর অভিনয় প্রয়োজন। ঐশ্বর্য চেষ্টা ভাল করেছেন, তবে তাঁর আরও একটু অভিজ্ঞতা প্রয়োজন। আরেকজনের কথা অবশ্যই বলতে হচ্ছে, ক্যামেরার নেপথ্যে থেকে তাপসীর অর্ধেকেরও বেশি দায়িত্ব সামলে দিয়েছেন মধুরা পালিত (Modhura Palit)। নেপথ্যের কারিগর হিসেবে প্রতিটা শটে নিজের মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়েছেন মধুরা। ছবিটি প্রযোজনা করেছেন কল্যাণ ভৌমিক। আর সংগীত পরিচালনার দায়িত্ব সামলেছেন বিশ্ববিজয় সেন।