সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতীয় দল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে পাকিস্তানে যাবে না। এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই ক্রিকেটমহলে শুরু হয়েছে বিতর্ক। এহেন পরিস্থিতিতে দুই দেশকে বন্ধুত্বপূর্ণ সমাধানের পথে হাঁটার পরামর্শ দিলেন শাহিদ আফ্রিদি। প্রাক্তন পাক অলরাউন্ডারের দাবি, অলিম্পিকের মঞ্চে দুই দেশ যেভাবে সৌহার্দ্য বজায় রেখেছে সেটা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও দেখানো উচিত।
পাকভূমে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন নিয়ে ডামাডোল দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। ভারতের অবস্থান পরিষ্কার। পাকিস্তানে কোনওভাবেই এই টুর্নামেন্ট খেলতে যাবে না। সেক্ষেত্রে হাইব্রিড মডেলের রাস্তা খোলা রয়েছে। বিসিসিআইয়ের সিদ্ধান্তের কথা পাক বোর্ডকে জানিয়ে দিয়েছে আইসিসি। পালটা পিসিবি তাদের সরকারের সঙ্গে কথাবার্তা জারি রেখেছে। আইনি পথে হাঁটার ভাবনাও রয়েছে তাদের। এমনকী চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে নাম প্রত্যাহারের মতো পদক্ষেপের কথাও শোনা যাচ্ছে।
এখানেই শেষ নয়। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি বিতর্কের পালটা দিতে 'ভারতবিরোধী' পদক্ষেপ করতে পারে পাকিস্তান, এমনটাও শোনা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, ভারতের বিরুদ্ধে কোনও ক্রীড়াপ্রতিযোগিতায় নামতে চায় না পাকিস্তান। ২০৩৬-এ ভারতের মাটিতে অলিম্পিক আয়োজনের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই আনুষ্ঠানিক বিডও করেছে আইওএ। পাকিস্তান তার বিরোধিতা করতে পারে। এই বিষয়ে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক সংস্থার কাছে আবেদন করতে পারে তারা। এহেন পরিস্থিতিতে পাক সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির একটা ম্যাচও দেশের বাইরে পাঠানো হবে না।
বিতর্কের আবহেই এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেন আফ্রিদি। সেখানে লেখেন, "১৯৭০ সালের পর এই প্রথমবার কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে ক্রিকেট। কিন্তু এখন সমস্ত মতানৈক্য় দূরে সরিয়ে ক্রিকেটের স্বার্থে এক হওয়া উচিত আমাদের। ইতিহাস যে দুই দেশকে আলাদা করে দিয়েছে সেই দুই দেশ অলিম্পিকের সময়ে যদি সৌহার্দ্য দেখাতে পারে তাহলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মঞ্চে কেন সেটা থাকবে না?" অনেকের মতে, অলিম্পিকে যেভাবে দুই দেশের জ্যাভলিন থ্রোয়ার নীরজ চোপড়া এবং আর্শাদ নাদিমের বন্ধুত্বের ছবি দেখা যায়, সেটাই তুলে ধরতে চাইছেন প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার। আফ্রিদির আশা, আগামী বছর প্রত্যেক দেশই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে পাকিস্তানে যাবে।