সুকুমার সরকার, ঢাকা: সরকার বিরোধী কাণ্ডে যুক্ত ফটোগ্রাফার শহিদুল আলম। এই বিষয়ে যথেষ্ট প্রমাণও মিলেছে এমনটাই দাবি করেছে পুলিশ। জেরায় একাধিক বিস্ফোরক তথ্য ফাঁস করেছেন শহিদুল বলেও দাবি তদন্তকারীদের। তবে পুলিশি তদন্তে রীতিমতো ষড়যন্ত্রের ছায়া দেখছেন বিশিষ্টজনেরা। অনেকেরই অভিযোগ, নির্যাতন করে শহিদুলের বয়ান নিয়েছে পুলিশ।
[বাড়ির সামনে মদের আসরের প্রতিবাদ, বধূকে পিটিয়ে মারল দুষ্কৃতীরা]
সড়ক নিরাপত্তার দাবিতে ছাত্র আন্দোলনলে সমর্থন দেওয়ায় গ্রেপ্তার করা হয় শহিদুলকে। রবিবার রাতে শহিদুলকে তাঁর ধানমণ্ডির বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। রমনা থানায় তাঁর বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় মামলা হয়।তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি সরকার বিরোধী গুজব ছড়িয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করছেন। রমনা থানায় দায়ের তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় সাতদিনের পুলিশি রিমান্ডে রয়েছেন বিখ্যাত চিত্রশিল্পী। তাঁকে জেরা করে পাওয়া তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। অন্যদিকে অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদকে আরও দু’দিনের পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
গত রবিবার আল-জাজিরা (ইংরেজি) চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে শহিদুলকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, ‘ছাত্রদের যে আন্দোলন চলছে তা কি শুধু সড়কের নিরাপত্তার দাবিতেই নাকি এর পিছনে আরও বড় কিছু রয়েছে?’ শহিদুল বলেছিলেন, একটি অনির্বাচিত সরকার দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় রয়েছে। তারা জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই শাসন করছে। ব্যাংক লুট করা হচ্ছে, সংবাদমাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হচ্ছে, মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। এই সরকার বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে চলেছে, বিরোধী মতের লোকজনকে গুম করছে- এ সবই চলছে দেশে। এ সবের বিরুদ্ধেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে এই আন্দোলনে। শুধু নিরাপদ সড়কের দাবিতে এই আন্দোলন নয়।’ ওই বয়ানের পরই বাড়ি থেকে শহিদুলকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। প্রথমদিকে গ্রেপ্তারির খবর অস্বীকার করলেও চাপে পড়ে শহিদুল আলমকে আদালতে তুলতে বাধ্য হয় পুলিশ।
[স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আলোয় সাজল লালকেল্লা, রোজ জ্বলবে দু’হাজার বাতি]
The post সরকার বিরোধী কাণ্ডে যুক্ত শহিদুল, দাবি পুলিশের appeared first on Sangbad Pratidin.