অর্ণব আইচ: ইডি হানার দিন স্থানীয় বিধায়ক সুকুমার মাহাতোর সঙ্গে কথা হয় শেখ শাহজাহানের। কললিস্ট খতিয়ে দেখে এমনই বিস্ফোরক তথ্য পেল সিবিআই। এবিষয়ে যদিও বিধায়কের তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। বার বার ফোন করা হলেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
ইডি হানার কথা জানার পর শেখ শাহজাহান কাকে ফোন করেছিলেন? সিবিআইয়ের হাতে এল সেই কললিস্ট। আর তা থেকে সামনে আসছে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। বলে রাখা ভালো, গত ৫ জানুয়ারি, শেখ শাহজাহানের বাড়িতে হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। ওই দিন হামলার শিকার হন তাঁরা। মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় তাঁদের। ভাঙচুর করা হয় গাড়ি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ইডির উপর হামলার ঘটনার সময় শেখ শাহজাহানের একটি ফোন থেকে ৩টি কল করা হয়। আরেকটি মোবাইল নম্বর থেকে প্রায় ১৮টি ফোন করা হয়। ওইদিনই সন্দেশখালির তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাতো ফোন করেছিলেন শেখ শাহজাহানকে। ২জনের মধ্যে প্রায় দেড় মিনিট কথা হয়। এছাড়া স্থানীয় পঞ্চায়েতের বেশ কয়েকজন নেতা ও স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের নম্বরও কললিস্ট থেকে পাওয়া গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: প্রার্থী ঘোষণার আগেই দেওয়াল লিখন, তমলুকে লড়ছেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ?]
শুধু তাই নয়, ফোনে কথাবার্তার পরই বাড়ি থেকে কার্যত পালিয়ে যান শেখ শাহজাহান। কারও বাইকে চড়ে ‘নিরাপদ স্থানে’ চলে যান সন্দেশখালির ‘বাঘ’। সূত্রের খবর, বেশ কয়েকদিন দ্বীপে দ্বীপে ঘুরে ঘুরে গা ঢাকা দিয়েছিলেন তিনি। শুধু নিজেই নন, নিজের পরিবারের লোকজনকেও বাড়ি থেকে অন্যত্র পাঠিয়ে দেন শাহজাহান। সন্দেশখালিতেই তাঁর মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে তাঁর পরিজনদের পাঠিয়ে দেন বলেও সূত্রের খবর।
এদিকে, বৃহস্পতিবার বিকেলের পর শুক্রবারও শাহজাহানের ডেরায় যায় সিবিআই। আকুঞ্জিপাড়ায় শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। দুরন্ত মোল্লা-সহ সাসপেন্ডেড তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকজনের বাড়িতেও যায় সিবিআই। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন আধিকারিকরা। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরাও শাহজাহানের ডেরায় যান। বেশ কিছু নমুনাও সংগ্রহ করেন আধিকারিকরা।