সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইডি হামলার ৫৫ দিনের মাথায় গ্রেপ্তারের পর বসিরহাট মহকুমা আদালতে মাত্র ১০ মিনিটের শুনানি। তাতেই ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতে শেখ সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’। প্রভাবশালী তকমা দিয়ে শাহজাহানের জামিনের তীব্র বিরোধিতা করে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সকালে এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতীম সরকার জানান, বুধবার রাতে মিনাখার বামনপুকুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় শাহজাহান শেখকে। সেখান থেকে ন্যাজাট হয়ে বসিরহাট মহকুমা আদালতে নিয়ে আসা হয় তাঁকে। আদালতে তোলার সময় পুলিশ নথি পেশ করে। শেখ শাহজাহানকে ‘অত্যন্ত প্রভাবশালী’ বলে উল্লেখ করা হয়। শাহজাহান জামিন পেলে সাক্ষীদের ভয় দেখাতে পারেন কিংবা আবার নিজে গা ঢাকা দিতে পারেন বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করে পুলিশ। এছাড়া গত ৫ জানুয়ারি ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনায় ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসাবেও উল্লেখ করা হয় তৃণমূল নেতাকে।
[আরও পড়ুন: সংসারে আসছে নতুন সদস্য, তারিখ জানালেন দীপিকা-রণবীর]
পুলিশের দাবি, গত ৫ জানুয়ারি সকালে ইডি আধিকারিকদের উপর হামলা চালিয়েছিল শেখ শাহজাহান। তৃণমূল নেতার স্বীকারোক্তি, তাঁর নির্দেশেই অনুগামীরা জড়ো হয়ে যায়। মারধর করা হয় ইডি আধিকারিক এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের। লুটপাটও করা হয়। গ্রেপ্তারি এড়াতেই হামলা বলেও জানায় শাহজাহান। সন্দেশখালির ‘বাঘ’ তদন্তে পুলিশকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। মারধরে কারা যুক্ত ছিল, তা জানাবে শাহজাহান।
এছাড়া কোথায় লুট হওয়া জিনিসপত্র রয়েছে, তাও জানাবে তৃণমূল নেতা। সে সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্যের খোঁজেই তাঁকে ১৪ দিন হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় পুলিশ। শাহজাহানের বিরুদ্ধে মানবপাচার, খুনের চেষ্টা, সরকারি কাজে বাধা-সহ দশটিরও বেশি জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে সন্দেশখালির তৃণমূল নেতাকে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। এদিকে, ইডির উপর হামলার ঘটনায় তদন্তভার নেয় সিআইডি। জেরার জন্য সোজা তাঁকে ভবানী ভবনে নিয়ে যাওয়া হয়।