সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গ্রহচক্রের সেরা গ্রহ বলা হয় শনিকে। তাঁকে ঘিরেই আবর্তিত হয় একাধিক কথকতাও। অনেকের বিশ্বাস অনুযায়ী, শনিদেবের (Shani Dev) আশীর্বাদ-অভিশাপের ওঠানামাতেই নিয়ন্ত্রিত হয় জীবন। কিন্তু যখন রুষ্ট হন এই দেবতাই? ছারখার হয় সব। সাংসারিক অশান্তি থেকে শুরু করে অর্থের তীব্র অভাব। এমনকী প্রিয়জনের অসুখ, আবার মৃত্যুও নাকি হতে পারে শনির প্রকোপে (Shanir Dasha)! এই দেবতার অভিশাপের আগুনে জ্বলতে পারে সব।
কিন্তু এখানেও আছে উপায়। শনিদেবকে সন্তষ্ট করতে একাধিক টোটকা ব্যবহার করেন অনেকেই। হাতের আঙুলে দামি গ্রহরত্ন থেকে শুরু করে একাধিক উপাচার। শুধুমাত্র ‘সাড়ে সাতি’ অথবা শনির দশামুক্ত হওয়ার জন্য মত্ত হন বহু। তবে এর জন্য ব্যয় হয় প্রচুর অর্থও। কিন্তু যাঁদের জীবনে রয়েছে টাকার অভাব? তাঁদের উপরেও যদি থাকে শনিদেবের কুনজর! তখন কী করবেন?
কয়েকটি অতি সাধারণ কাজ করলেই মিলবে মুক্তি। কী করবেন আপনি?
কালো রং (Black Colour) শনিদেবের অপছন্দের রং বলে মানা হয়। তাই, কালো রঙের পোশাক পরিধান করা যাবে না। অধিকাংশ সময় তো বটেই, বিশেষত শনিবার নীল রঙের পোশাক পরা ভাল বলে মনে করেন অনেকেই।
এছাড়া শনির দশা থেকে মুক্তি পেতে শ্বেত বিড়লার মূল কার্যকরি। এই গাছের শিকড় নীল রঙের সুতোয় বেঁধে কোমরে অথবা হাতে পরিধান করলে মেলে শান্তি।
শনির অভিশাপে জর্জরিত হলে সিসা ধাতু খুব কাজে দেয়। নামমাত্র খরচে যা মেলে সর্বত্র। আঙুলে সিসার আংটি পরলে ভাল হতে পারে আপনারও।
কালো জিরা। শনির প্রকোপ থেকে বাঁচতে এর গুণ রয়েছে মারাত্মক। শনিবার স্নানের জলে সাতটি কালো জিরার দানা দিয়ে স্নান করলে তুষ্ট হন শনিদেব। যদিও এই বিষয়ে রয়েছে ভিন্ন মতও।
[আরও পড়ুন: ঠিক কোন সময়ে জন্মাষ্টমী পালনে মিলবে অগাধ পুণ্যফল?]
শনির দিন শনিবার। এদিন আমিষ না খাওয়া ভাল। ওই দিন যেকোনও শনি মন্দিরে পুজো অথবা নিজের বাড়ির তুলসি মঞ্চের সামনে বসে শনির পাঁচালি পাঠে মেলে মুক্তি।
বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর! কিন্তু ইশ্বর বিশ্বাসীদের মনে শনিদেব নিয়ে রয়েছে একাধিক ভাবনা। এই দেবতার সেবায় নিয়োজিত হওয়ার চেষ্টা চলে নিরন্তর। একবার আপনিও করে দেখবেন নাকি এই কাজগুলি?
*তথ্য সংগৃহীত।