অর্ণব আইচ: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ৩ দিনের ইডি (ED) হেফাজতের তৃণমূলের যুব নেতা কুন্তল ঘনিষ্ঠ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় (Shantanu Banerjee)। ফের তাঁকে ১৩ মার্চ ব্যাঙ্কশালের বিশেষ আদালতে পেশ করা হবে। এমনই নির্দেশ দিয়েছেন ব্যাঙ্কশাল আদালতের বিচারক। এদিন আদালতে দাঁড়িয়েও শান্তনু দাবি করেছেন, তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে জেলবন্দিদের নিশানা করেছেন তিনি।
শুক্রবার সন্ধেবেলা প্রায় ৭ ঘণ্টা জেরার পর শান্তনুকে গ্রেপ্তার করে ইডি। তাঁকে রাতে সিজিও কমপ্লেক্সে রাখা হয়। এরপর শনিবার ব্যাঙ্কশাল আদালতের বিশেষ কোর্টে পেশ করা হয়। আদালতে ঢোকার মুখে শান্তনু বলেন, “আমি টাকা নিইনি। জেলের মধ্যে যারা আছে তারা ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। আমি নির্দোষ। আমি নির্দোষ। আমি নির্দোষ। যা বলার কোর্টে বলব।” এবং আদালতে দাঁড়িয়েও সেই একই দাবি করেছেন শান্তনু।
[আরও পড়ুন: ‘স্বামী পরিত্যক্ত মহিলাকে বিধবা বলাটা অপমানজনক’, দাবি শোভনপত্নী রত্নার]
ইডি শান্তনুকে ১৪ দিনের হেফাজতে চেয়ে আবেদন করেছিল। শান্তনুর আইনজীবী তাঁর জামিনের আবেদন জানান। কিন্তু ইডির দাবি, শিক্ষা দুর্নীতিতে জড়িত এরা সকলে। তাই হেফাজতে রেখে জেরা প্রয়োজন। সূত্রের খবর, এই শান্তনুর কথাতেই কুন্তলকে ১৯ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল। এবং তা দিয়েছিলেন মামলায় ধৃত আরেকজন তাপস মণ্ডল। দু’পক্ষের সওয়াল-জবাবের পর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন বিচারক। তবে ১৪ দিন নয়, তিনদিনের হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। সোমবার ফের তাঁকে আদালতে পেশ করা হবে।
[আরও পড়ুন: সরকারি নিয়ন্ত্রণেই পোস্ত চাষ হবে রাজ্যে, চিহ্নিত ১৬৩টি খামার]
এদিকে ইডির আরও দাবি, কুন্তল-শান্তনুদের টাকা দিয়েই চাকরি পাকা করেছিলেন অনেকে। তাঁরা হয়ত এখন শিক্ষকতার চাকরি করছেন। কিন্তু তাঁরা কারা? তা বিশদে জানতে চাকরিপ্রাপ্তদেরও তলব করার কথা ভাবছে ইডি। আগামী সপ্তাহে তাঁদের সকলকে ডাকা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।